× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে মিয়ানমার: রিজভী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর মিয়ানমার সরাসরি আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা মিডনাইট ভোটের এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমারও বাংলাদেশকে নিয়ে দুঃসাহস দেখাতে স্পর্ধা দেখাচ্ছে। বারবার মিয়ানমার সরকারিভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সে দেশের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। সে দেশের আরাকান রাজ্যের দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অধিবাসীকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে। এখন সেখানকার সংখ্যালঘু উপজাতিদেরও তাড়িয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে জাতির ঘাড়ে জোর করে চেপে বসা আওয়ামী দানব সরকার কিছু করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।
প্রতিবাদ করা তো দূরে থাক বরং মিয়ানমারের বাংলাদেশবিরোধী নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সারাবিশ্ব যখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছিলো, সে সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না কেবলমাত্র মিড নাইট সরকারের নতজানু নীতির কারণে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে মিয়ানমার তাদের দেশের অংশ করে নিতে চাইবে আর আমরা কিছুই করবো না! শুধু দূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তারা একবার না কয়েকবার একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। তখনও এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়। রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কি চলছে? সেখানে বিজিবির গুলিতে নিহতদের পরিবারে যখন শোকের মাতম চলছে তখন নিহতদের নামে আবার মামলা দেয়া হয়েছে। হরিপুর উপজেলা বহরমপুর ও রুহিয়া গ্রামের ২৭২ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে বিজিবি। একটি মামলার এজাহারে বিজিবির গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলীর নামও রয়েছে। সে গ্রামে মামলা ও বিজিবির ভয়ে এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। গ্রামবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা। সীমান্ত পাহারা দেয়ার কাজ বিজিবির। কিন্তু তারা সীমান্ত পাহারা না দিয়ে বিএসএফ-এর মতোই বাংলাদেশিদের হত্যা করছে! তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো, সামান্য দুইটি গরুর জন্য আমাদের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত বিজিবি গুলি করে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীকে কি করে হত্যা করতে পারে? আবার কি করে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দিতে পারে? তারা তো জনগণের পরিশ্রমলব্ধ অর্থে বেতন ভাতা নিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। রক্ষকরাই এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গোটা দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও গভীরভাবে শোকাহত। কিংবদন্তিতুল্য কবির প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি করার কারণে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কালীরাইটা গ্রামের মহিলা নেত্রী রোখসানাকে আওয়ামী লীগ ক্যাডার দীপ্তি, নোমান ও বরকত উল্লাহর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করেছে। রোখসানা বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রোখসানার ওপর আওয়ামী ক্যাডারদের এই বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহেদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর