× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বরণসভায় বক্তারা / একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবীদ ছিলেন কাজী আরেফ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার

কাজী আরেফ আহমেদের কথা বললে চোখে ভেসে উঠে আদর্শবাদী, সৎ একজন রাজনীতিবিদের চেহারা। বর্তমানে রাজনীতিতে আদর্শের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। এতে তাদের লজ্জা না লাগলেও আমাদের লাগে। কাজী আরেফ রাজনীতি করার টাকা যোগাতেন টিউশনি করে আর এখনকার ছাত্রনেতাদের গাড়ি না হলে হয় না। তাদের আয়ের উৎসহও কারো জানা নেই। গণআন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা কাজী আরেফ আহমেদের ২০তম হত্যা দিবসে স্মরণসভায় বক্তারা এভাবেই স্মরণ করলেন তাকে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক আব্দুল সালাম মিলনায়তনে ‘নিউক্লিয়াস’ থেকে ‘গণআদালত’ শীর্ষক কাজী আরেফ আহমেদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাজী আরেফ পরিষদ। স্মরণসভায় স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুনীরউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গণআদালতের আইনজীবী জেট আই খান পান্না, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী মোস্তাক, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশতাক হোসেন, কাজী আরেফের কন্যা কাজী আফরিন জাহান জুলি। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন আমিনুল হক মন্টু। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিউক্লিয়াসের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। এতে বঙ্গবন্ধু জড়িত ছিলেন। তার নির্দেশনাতেই নিউক্লিয়াস পরিচালিত হতো। মনে রাখতে হবে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের যে মিছিল করা হয়েছিল  সেগুলো নিউক্লিয়াসের তৈরি। এর মধ্যে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ অন্যতম। কাজী আরেফ ছিলেন সংগঠনটির অন্যতম একজন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠনের পর কাজী আরেফ অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। গণআদালত গঠনের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ ‘নিউক্লিয়াস’ অস্বীকার করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু যে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তা আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না। বঙ্গবন্ধুর র্নিদেশেই গঠিত হয়েছে নিউক্লিয়াস, আর নয়তো নিউক্লিয়াস এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকে জানিয়েছে। রামেন্দু মজুমদার বলেন, আরেফ আহমেদের কথা বললে চোখে ভেসে উঠে আদর্শবাদী, সৎ একজন রাজনীতিবিদের চেহারা। ওই সময়ের রাজনীতিতে মতের অমিল থাকলেও নৈতিকতার ঘাটতি ছিল না। আর এখন পরমত সহিষ্ণুতা বলে কিছু নেই। মতের অমিল হলেই অপরাধী। এ সময় তিনি বলেন, সামনে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদ্‌যাপন এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে পক্ষপাতহীনভাবে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ইতিহাস তুলে আনতে হবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপকৃত হবে। কাজী আরেফ আহমেদের মেয়ে কাজী আফরিন জাহান জুলি বলেন, আমি আর আমার ভাই বাবাকে খুব একটা কাছে পাইনি। তিনি সব সময় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেক চাপে থাকলেও ওনাকে কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর