মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি নিহত হুমায়ুন (৩০) নৌ-ডাকাত দলের সদস্য এবং তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হুমায়ুন নিহত হয়। নিহত হুমায়ুন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালিরচর গ্রামের মৃত মোহন বেপারীর ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, রামদা ও চাপাতি উদ্ধার করেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুনকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের নিচে আগে থেকে ওত পেতে থাকা হুমায়ুন বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় হুমায়ুনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে ৬ মামলার আসামি হুমায়ুন গুলিবিদ্ধ হয়।
হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য এসআই দেবাশীষ কুণ্ডু ও এএসআই মিনহাজ আহত হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাদক ব্যবসায়ী হরিপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম নাজমুল মালিথা (৪০) এবং সে উপজেলার তারাগুনিয়া শাালিমপুর এলাকার মিরাজ মালিথার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬০০ পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১.৩০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরের মধ্যে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গুলাগুলি চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের চার সদস্য আহত হ’ন। এরা হলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই রাশেদ, এসআই আতিকুল ইসলাম, এএসআই কামরুজ্জামান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিহত নাজমুল জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।