× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজশাহী ও নাটোরে শিলাবৃষ্টিতে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুলসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ৫টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত এই শিলাবৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল। এ সময় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আর বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই পুরো মহানগর এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। যা স্বাভাবিক হতে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সময় লেগেছে।
৩৮ মিনিটের এই শিলাবৃষ্টির আঘাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, পবা, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল ঝরে পড়েছে। এছাড়া পিয়াজ, সরিষাসহ কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রায়পুর এলাকার আম ব্যবসায়ী শামসুল হক জানান, শিলাবৃষ্টির আঘাতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান গুনতে হবে তাদের।
আমগাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হতো। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, ভোর ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ৫টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত এই শিলাবৃষ্টি স্থায়ী ছিল। এ সময় বজ্রপাতও হয়েছে। তবে বৃষ্টির সময় ঝড়ো হাওয়া ছিল না। ভোরের এই ৩৮ মিনিটে রাজশাহীতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের তিনটি উপজেলায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচু, পেয়ারা, পিয়াজ, রসুন, বোরো ধান, সরিষা, গম, কালাই, ভুট্টা, সবজি, পান বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও বাড়িঘরের ক্ষতি হওয়াসহ বিভিন্ন পাখি মারা গেছে। ঋণ করে ফসল ফলিয়ে হঠাৎ এই শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকরা জানান, গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জেলার নলডাঙ্গা, সিংড়া ও সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় হঠাৎ করে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচু, পেয়ারা, সরিষা, গম, পিয়াজ, রসুন, বোরো ধান, কালাই, ভুট্টা, সবজি, পান বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে সকাল ১০টা পর্যন্ত টিনের চালা, খরের গাদা, রাস্তাসহ কোনো কোনো স্থানে শিল জমে থাকতে দেখা গেছে। শিল পড়ে টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। সদর উপজেলার ছাতনী এলাকার কৃষক নাসির উল্লাহ জানান, হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে তার অনেক কষ্টের ফসল একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এত শিল তারা আগে কখনো দেখেন নি। একই এলাকার পেয়ারা চাষি আব্দুল গফুর জানান, শিলাবৃষ্টিতে তার ৭ বিঘা পেয়ারা বাগান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ঋণ করে অনেক কষ্টের করা ফসল নষ্ট হওয়াতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তেমনি ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল জামতৈল গ্রামের কৃষক আরব আলী জানান, শিলাবৃষ্টিতে পিয়াজের বীজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। নলডাঙ্গার পাটুল এলাকার আফজাল হোসেন বলেন, ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ভুট্টা অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে যা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর