স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৭ বছর পর হাতিয়ার নদী ভাঙন রোধ হচ্ছে। দ্বীপের নদী ভাঙা মানুষগুলোর মধ্যে নিজ ভিটেমাটি নিয়ে টিকে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখা দিয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে নলচিরা ইউনিয়নে নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশ ফেরদাউস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও অধ্যাপক ওয়ালী উল্যা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন প্রমুখ। হাতিয়া নদী ভাঙা রোধ কল্পে ১৬ কি.মি. এলাকার জন্য ৭০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে আফাজিয়া বাজার রক্ষাসহ কয়েটি স্থাপনা রক্ষার জন্য জরুরিভিত্তিতে ৩২০ মিটার জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। যা আজ উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে গত শনিবার নলচিরা ঘাট এলাকায় এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশ ফেরদাউস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও অধ্যাপক ওয়ালী উল্যা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-এ- আলম, নলচিরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাবলু, চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মুহিন প্রমুখ। দীর্ঘ দিন পর হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের নদী ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ায় মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সকাল থেকে উদ্বোধনের কার্যক্রম নিজ চোখে দেখার জন্য হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পায়ে হেঁটে মানুষ নলচিরা ঘাটে উপস্থিত হতে থাকে। সবার একটাই দাবি সাময়িকভাবে নয় শুধু, বড় প্রকল্পের কাজ যেন অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হয়।