সাভারের আশুলিয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে পাষণ্ড স্বামী বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গতকাল রাতে আশুলিয়ার দুর্গাপুর উত্তরপাড়া এলাকার সুলতান ফকিরের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। নিহত পোশাক শ্রমিকের নাম শম্পা আক্তার (২৮)। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানার সদর এলাকায়। সে স্বামী বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে আশুলিয়ার দুর্গাপুর উত্তরপাড়া এলাকার সুলতান ফকিরের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় সাউদার্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতো বলে জানিয়ে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বিল্লাল হোসেন স্ত্রী শম্পা আক্তারকে যৌতুক হিসেবে বাবার বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিলো।
কিন্তু পোশাক শ্রমিক স্ত্রী যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করায় শনিবার রাতে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষণ্ড স্বামী। পরে রাতেই বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরা ঘটনাটি আশুলিয়া থানায় জানান। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর হোসেন নয়ন ভূঁইয়া জানান, নিহত পোশাক শ্রমিকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে হত্যাকারীকে আটকে অভিযান চালানো হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার রহমত আলীর ভাড়া বাড়িতে হাসনা (২৩) এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তার স্বামী রিকশাচালক নয়ন। গতকাল সকালে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে বলে জানিয়েছে পুলিশ।