ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫৩ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন কুসাল পেরেরা। এবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও চমক দেখালেন এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এক লাফে ৫৮ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৪০তম অবস্থানে পৌঁছান ‘সুপারম্যান’ পেরেরা। ঐতিহাসিক জয়ে পেরেরার সঙ্গী বাঁ-হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো। দশম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ৩০৪ রানের টার্গেটের পাহাড় অতিক্রম করেন দুজন। আর ম্যাচে ৮ উইকেটের নৈপুণ্যে ২৬ ধাপ টপকে ক্যারিয়ার সেরা ৪৯তম স্থানে ফার্নান্দো। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও অর্ধশতক (৫১) উপহার দেন পেরেরা। ১৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি পেরেরার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
এদিকে ডারবান টেস্টে মাত্র ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ের শীর্ষ স্থান খোয়ান কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকান পেস সেনসেশনের ২ ধাপ অবনমন হয়। গ্লেন ম্যাকগ্রার (২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি) পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে শীর্ষ স্থানে নাম লেখান প্যাট কামিন্স। এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন। ব্যাটিংয়ের শীর্ষ স্থান যথারীতি বিরাট কোহলির দখলে। আর অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় স্থান অক্ষুণ্ন। সম্প্রতি সাকিবকে টপকে শীর্ষে নাম লেখান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
পেরেরা-ফার্নান্দো জুটির যত রেকর্ড
৭৮* - টেস্টে সফল রান তাড়ায় দশম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ ৫৭ রানের জুটি ছিল ইনজামাম উল হক ও মুস্তাক আহমেদের (১৯৯৪ সালে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)।
১৫৩* - টেস্টে রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার জয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ ১৪৩* রান করেন অরবিন্দ ডা সিলভা (১৯৯৮ সালে কলম্বোতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সফল রান তাড়ায়ও সবার উপরে পেরেরা। পেছনে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার নিল হারভি (১৫১*)। আর টার্গেটে জয় পাওয়া ম্যাচে পেরেরার ইনিংসটি শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নেয়। ব্রায়ান লারাকে স্পর্শ করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বার্বাডোস টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লারার ১৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১ উইকেটে জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ (২৭) - দশম উইকেট জুটিতে পেরেরার রান। এর মধ্যে ৪ রান আসে ওভার থ্রো থেকে। জুটিতে ৬৮ বলে ৬৭ রান করেন পেরেরা। যাতে রয়েছে ৩টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।