× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এমিলি, বাবুর কারণে মোহামেডান ছেড়েছেন নাসির

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

মাঠে ও মাঠের বাইরে হতশ্রী অবস্থা ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের। এরই মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে হেরেছে ঐহিত্যবাহী দলটি। আজ সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামার আগে দায়িত্ব ছেড়েছেন দলটির কোচ আলী আসগর নাসির। অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু ও ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলির অযাচিত হস্তক্ষেপেই মোহামেডান ত্যাগ করেছেন কোচ নাসির। পেশাদার লীগের প্রথম তিন আসরে রানার্সআপ হয় ঢাকা মোহামেডান। এরপর টানা আট আসরে পাত্তা নেই সাদা-কালো শিবিরের। গত আসরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পঞ্চম হয়েছিল ঢাকা মোহামেডান। এবারের অবস্থা যাচ্ছে তাই।
নামকাওয়াস্তে দল গড়ার ফল ফেডারেশন কাপেই পেয়েছে মোহামেডান। ফেডারেশন কাপের মতো স্বাধীনতা কাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পরে মতিঝিলের দলটি।
চলতি মৌসুমে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্সকে দিয়ে। ক্লাব কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় দেশে চলে চান এই বৃটিশ কোচ। চার মাস মোহামেডানের দায়িত্ব পালন করলেও এখনো বেতন পাননি তিনি। এনিয়ে ফিফাতে নালিশ করারও হুমকি দিয়েছেন ইভান্স। তার চলে যাওয়ার পর নাসিরকে দায়িত্ব দিয়েছিল ক্লাবটি। নাসিরের অধীনে লীগের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও পরে টানা পাঁচ ম্যাচে হারে মোহামেডান। টানা ব্যর্থতায় দলকে নিজের মতো পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়াতেই দায়িত্ব ছাড়েন নাসির। গুঞ্জন রয়েছে দিনের পর দিন অনুশীলন না করেই একাদশে থাকেন এমিলি। তার পছন্দের ফুটবলারদের রাখতে হয় একাদশে। দায়িত্ব ছাড়ার পর নাসির বলেন, ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু ভাইকে বলেই আমি দায়িত্ব ছেড়েছি। স্বাধীনভাবে কাজ করবো বলেই এই পেশায় এসেছিলাম। যে কয়টি ক্লাবে কাজ করেছি তার প্রতিদানও দিয়েছি। মনে করেছিলাম মোহামেডানেও নিজের মতো করে কাজ করতে পারবো। সেটা আর পারলাম কই? নাসির বলেন, ‘ভীষণ অত্যাচার। আমার কোচিং লাইফে দেখিনি। স্বাধীনভাবে কাজ করে যদি না জিততে পারতাম তাহলে কৈফিয়ত নিতে পারতো। আমি একটা ম্যাচ (বিজেএমসি ও মোহামেডান) স্বাধীনভাবে কাজ করেছি, ব্যাস বাকিটা আমি নিজেও জানি না। বিজেএমসির ম্যাচের আগে কিছুতেই আমার ফরমেশন অনুযায়ী মাঠে নামতে দেবে না। তারা লোকমান ভাইকে জানায়। আমি যখন জিতলাম তখন বলা হলো লাকিলি জিতেছি। বিজেএমসি ভালো খেলেছে। আমরা খারাপ খেলেছি।’ পরের ম্যাচগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মাঠে, আমিই জানি না খেলোয়াড় চেঞ্জ হয়ে যায়। একটা ম্যাচে আমি কোমলকে একাদশে রাখলাম তারা দিলো না। আমার সামনে বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে মিটিং করে আমার সিদ্ধান্ত বদল করে দিলো। মিন্টু শেখের বাবা দুই দিন আগে মারা গেছে, সে আনফিট। খোকন ফিট প্লেয়ার। ওরা বলে মিন্টুই খেলবে। হারলাম সাইফের কাছে। কি বলবো, আরামবাগের সঙ্গে দল সাজালো দুই সাইডব্যাক নেই। জেনুইন ডিফেন্স না থাকলে গোল খেতেই হবে। এমিলি যদি ভালোই বুঝে তাহলে সে কোচিং করাক। এখানেই শেষ না। মাঠে কাকে নামাতে হবে সেটা নিয়েও মোহামেডানে সিন্ডিকেট রয়েছে। কিছু প্লেয়ার রয়েছে তাদের নামাতেই হবে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না। এভাবে তো কাজ করা যায় না এমিলি প্র্যাকটিস করে না। তাকে নামাতে হবে।’ কোচের এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে চাননি ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর