× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জরুরি’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

নিউজিল্যান্ডে টানা দুই ওয়ানডেতে হেরে ইতিমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ দল। সুযোগ ছিল এখানে ১১ বছরের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের ইতিহাস পরিবর্তনের, কিন্তু হয়নি। ওয়ানডে সিরিজের একটি মাত্র ম্যাচ বাকি। ২০শে ফেব্রুয়ারি ভোরে ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে এই ম্যাচে জিতলে এড়ানো যাবে আরো একটি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। সিরিজ হারের পর শেষ ম্যাচে আসলে হারানোর কিছু নেই বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তার বিশ্বাস দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা। তিনি বলেন, ‘আনলাকি সেকেন্ড ম্যাচটায় আমরা টস হারলাম। টস জিতলে হয়তো আমরা বোলিং করতাম সেদিন।
কন্ডিশন একটু ভেজা ভেজা ছিল। ওভার কাস্ট ছিল। হয়তো বোলাররা একটু হলেও সুবিধা পেত। আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সেকেন্ড হাফে উইকেট সব সময় ভালো হয়ে যায়। আর সকালবেলা একটু ময়েসচার থাকেই। ওই সুবিধাটা নিউজিল্যান্ড বোলাররা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমাদের টপ অর্ডার দুইটা ম্যাচেই ভালো করেনি, এটা হতেই পারে। তবে আমরা মিডল অর্ডারে যেভাবে কামব্যাক করেছি সেটাও পজেটিভ নোটে নিতে পারি। তবে ডেফিনিটলি কামব্যাক করাটা জরুরি।’
এবারো কেন নিউজিল্যান্ড সফরে দলের এমন করুণ অবস্থা। বিশেষ করে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই একে একে হারছে দল। একে তো সাকিব নেই, তার উপর দলের অন্য সিনিয়র ক্রিকেটাররাও ব্যর্থ। তামিম ইকবাল দুই ম্যাচেই রান পাননি। মুশফিকুর রহীম আশা দেখিয়েও পারেননি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও ব্যর্থ। সেই সঙ্গে তরুণ ওপেনার লিটন কুমার দাস তো নিজেকে খুঁজেই পাচ্ছেন না। সৌম্য চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারছে না। একমাত্র মোহাম্মদ মিঠুনই টানা দুই ফিফটি হাঁকিয়েছেন। শেষ ম্যাচে সাব্বির খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। বোলাররাও সেরাটা দিতে পারছে না। বিশেষ করে সাকিব না থাকাতে দলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সাকিব না থাকাতে যা হয়, দলের বাল্যান্স করতে একটু কঠিন হয়। আমাদের তো ওই মানের অলরাউন্ডার সত্যি কথা কমই। তারপরও  যদি একটা কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলবেন সেটাও একটা ঝুঁকি হয়। তারপরও আমি একটা বোলারের শর্ট দেখি। দেখা যাক ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করে সেটাই করবে। দেখা যাক লাস্ট ওয়ানডেতে যেহেতু সিরিজ আমরা হেরে গেছি, আমাদের কিছু হারানোর নেই। আমরা আমাদের যতটুকু ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি সেটা সবচেয়ে বড় জিনিস।’
নিউজিল্যান্ডে পেসারদের কাছে বড় আশা ছিল বাংলাদেশ দলের। কারণ এই কন্ডিশনে সাধারণত পেসাররাই দাপট দেখায়। কিন্তু সেটি হচ্ছেই না। টাইগার পেসারদের পাত্তাই দিচ্ছে না কিউই ব্যাটসম্যানরা। কেন ব্যর্থ হচ্ছেন পেসাররা? এ প্রশ্নের জবাবে সুজন অবশ্য নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দাপটের কথা জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বেশি ভালো খেলছে। ওদের দলের সবাই ১৪০ এ বল করছে। আমাদের কিন্তু ওই জোরের বোলার নাই। আমরা রুবেলকে মিস করছি। বিশেষ করে ওর পেসটা মিস করছি। হয়তো আমাদের যদি একটা জোরের বোলার থাকতো, সেকেন্ড হাফে উইকেট অনেক ইজি হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের জন্য, ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমার মনে হয় লেন্থটা নিয়ে একটু কাজ করলে ভালো। তবে আমি একদম হতাশ না। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন সব সময় কঠিন যে কোনো উপমহাদেশের দলের জন্য। আমি মনে করি ছেলেরা ভালো ট্র্যাকেই আছে। আমি মনে করি সাকিব ফিরে আসলে টিমের ব্যাল্যান্সটা ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে সাকিব শেষ পর্যন্ত টেস্টেও ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর