× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এফবিসিসিআই ব্যাংক লুটপাটকারীদের শাস্তি চায়

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে যারা ব্যাংকের ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছে না, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। গতকাল এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এ কথা বলেন। খাতভিত্তিক ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের (এসোসিয়েশন) সমিতির উদ্যোগে বাজেটের আগে তাদের সদস্যদের সমস্যা শুনতে ঢাকা ক্লাবে এই সভার আয়োজন করে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, নন পারফরমিং লোন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যারা অবৈধ পথে ব্যাংক লুট করার উদ্দেশ্যে টাকা নিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হোক। পাশাপাশি যে সব ব্যবসায়ী লোকসানের কারণে ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, তাদের সুযোগ দেয়ার সুপারিশও করেছেন তিনি। যারা প্রকৃত ব্যবসা করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদেরকে এক্সিট রুট দেয়া হোক।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণের পুনঃতফসিলের সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ৫০০ কোটি টাকার উপরে যারা ঋণ খেলাপি, তাদেরকে ২০ বছরের জন্য    পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়া হয়। এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য তা কেন চালু করা হয় না আমরা জানতে চাই।

এফবিসিসিআই সভাপতি মহিউদ্দিন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা করার পরিবেশ চাই।
ব্যবসায়ীদের যাতে রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায় করতে না হয়।

মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে নেয়াকে দেশের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, রাজনীতি-অর্থনীতি একে অন্যের পরিপূরক। একজন ব্যবসায়ী রাজনীতিতে আসলে তিনি সবচেয়ে বেশি সমাজ সেবা করতে পারেন। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা এবং ব্যবসায় সততা থাকতে হবে। দুই-তিনজন অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য গোটা ব্যবসায়ী সমাজ দায় নেবে না। তাদের চিহ্নিত করতে এফবিসিসিআই সহায়তা করবে।

গত দিনে এফবিসিসিআইয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সহকর্মী শেখ ফজলে ফাহিম ও মুনতাকিম আশরাফের সমর্থন ও সহায়তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এসোসিয়েশনের অন্তত ২০ জন প্রতিনিধি তাদের সমস্যা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

তাদের অধিকাংশই আগামী দুই বছরের জন্য এফবিসিসিআই সভাপতি হিসেবে শেখ ফজলে ফাহিমকে সমর্থনের কথা জানান। এর আগে চেম্বার গ্রুপের এক মতবিনিময় সভায়ও নতুন সভাপতি হিসেবে নিরঙ্কুশ সমর্থন পেয়েছিলেন ফাহিম।

এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সবাই ব্যাংক ঋণে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করতে এফবিসিসিআই নেতাদের পরামর্শ দেন।

ট্যানার্স এসোসিয়েশনের এবিএম মাসুদ বলেন, হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের পর এই শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে। বিদেশি ক্রেতারা সাভারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সিইটিপি চালু হয়নি, ডাম্পিং স্টেশনও চালু হয়নি। এই ইন্ডাস্ট্রি এখন গলার কাঁটা হয়েছে।

সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশনের শহীদুল্লাহ বলেন, ব্যাংকের টাকা সব ঋণ খেলাপিদের কাছে চলে গেছে। যার ফলে ছোট মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যাংকে টাকা চাইলে তারা দিতে পারছে না।

বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এনসিটিবি টেন্ডারে এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেয় যাতে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী ছাড়া আর কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন না। এই চক্রকে ভাঙার জন্য টেন্ডারের নীতি শিথিল করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর