বিএনপিকেই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, জনগণ ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জীবন বাজি রেখে ভোট দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা পারেনি। জনগণ বিএনপির ওপর যে আস্থা রেখেছে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর পুনর্গঠন চলছে। ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে বিএনপিকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজ করতে হবে। আগামী দিনে বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করবে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন: প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া সম্পর্কে ড. মোশাররফ বলেন, এক বছর পার হয়ে গেল, নানা অজুহাতে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালে নারী, শিশু নির্যাতিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে, এক ব্যক্তির শাসন চলছে। আজকে যেদিকেই তাকাবেন, সবদিকেই অবক্ষয়। নারী নির্যাতন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কেন এই অবক্ষয়, সামাজিক মূল্যবোধ তলানিতে গেছেই বলে আজকে আমাদের সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে। যেহেতু দেশে গণতন্ত্র নেই, তাই সবকিছুতেই এ অবক্ষয়। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে গণতন্ত্রের মুক্তি সম্ভব নয়। ড. মোশাররফ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের একজন একজন করে ধরা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে ঘটা করে ধরছেন। পুলিশের কাছে আগেও লিস্ট ছিল। মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ধরে আবার এমনভাবে মামলা দেয়া হয়, যাতে তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। কেন তা করা হচ্ছে? এর মূল কারণ একটিই, তারা ক্ষমতাসীন দলের লোক। আত্মসমর্পণের নামে এখন ‘তামাশা’ চলছে। বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহেদা রফিক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা।