× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমালোচনার মুখে অ্যাপল ও গুগল /সৌদি আরবে স্ত্রীদের নজরদারি করতে অ্যাপ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯, সোমবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

সৌদি আরবে নারীদের ওপর জোরজবরদস্তিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে অ্যাপল ও গুগলের বিরুদ্ধে। কোমপানি দুটি সমপ্রতি সৌদি আরবের পুরুষদের জন্য এমন একটি অ্যাপ এনেছে যার মাধ্যমে তারা চাইলেই তাদের স্ত্রীদের সবসময় নজরদারি করতে পারবে। তারা কোথায় যাচ্ছে কিংবা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও সবসময় নজরদারি করা যাবে। এই অ্যাপটি ইতিমধ্যে গুগল প্লে ও আইটিউনস স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। সৌদি আরব সরকার এর উন্নয়নে সাহায্য করছে। এর মাধ্যমে পুরুষরা তার স্ত্রীদের সীমান্ত পার হওয়া রোধ করতে পারবে।
সৌদি আরব থেকে পালিয়ে যে নারীরা অন্য দেশে চলে যেতে চান এর ফলে সেই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন অধিকারকর্মীরা। এই অ্যাপের নাম দেয়া হয়েছে আবশের। সৌদি সরকারই এই অ্যাপটি পরিচালনা করবে।
এরই মধ্যে ১০ লাখেরও অধিকবার এটি ডাউনলোড করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো পুরুষ অভিভাবক চাইলে ঠিক করে দিতে পারবে তার স্ত্রী কোন এলাকায় কতক্ষণ থাকতে পারবে। কেউ যদি ওই এলাকা ত্যাগের চেষ্টা করে তাহলে তার কাছে এলার্ম যাবে। ফলে সহজেই তাকে আটক করা যাবে। সৌদি আরবের তীব্র রক্ষণশীল আইনে সকল নারীকেই একজন পুরুষ অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হয়। ইয়াসমিন মোহাম্মদ নামের এক অধিকারকর্মী এ বিষয়ে বলেছেন, অ্যাপল ও গুগল সেকেলে নারীবিদ্বেষকে সহযোগিতা করছে। সৌদি নারীরা নির্মমতার শিকার দাবি করে তিনি বলেন, যেখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জীবনমান উন্নয়ন করছে সেখানে সৌদি আরব এটি ব্যবহার করছে লিঙ্গ বিদ্বেষের কাজে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই অ্যাপ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। সৌদি আরব থেকে প্রায়ই নারীরা পালিয়ে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি ঘটনা সমপ্রতি বিশ্বের নজরও কেড়েছে। আবার অনেক নারী পালাতে গিয়ে আটকও হচ্ছেন, যাদের পরিণতি সমপর্কেও জানা যায়নি অনেক সময়। এরকম পরিস্থিতিতে এ ধরনের অ্যাপকে নারীর ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছেন অধিকারকর্মীরা। অ্যাপল ও গুগলকে যত দ্রুত সম্ভব এ অ্যাপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে এ বিষয়ে এখনো কোমপানি দুটি কোনো ধরনের মন্তব্য করে নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর