× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডাকসু নির্বাচন /বৃহত্তর ঐক্যে বাম জোট ভোট পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল, নির্বাচনমুখী ছাত্রলীগ

শেষের পাতা

মুনির হোসেন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম ছাত্র রাজনীতির আঁতুড় ঘর বলে পরিচিত মধুর ক্যান্টিন। ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় উপস্থিতিতে স্বরূপে ফিরেছে ঐতিহাসিক রেস্তরাঁটি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, শ্রেণিকক্ষ, ক্যান্টিন, চায়ের আড্ডায় গুরুত্ব পাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। চাঙ্গাভাব ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে প্রফুল্ল সকলে। এদিকে দুপুরে নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল পৃথক পৃথকভাবে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ছাত্রলীগ, ছাত্রদল। সংবাদ সম্মেলন করেছে- বাম সমর্থিত ছাত্র জোট, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, জাসদ ছাত্রলীগ। বিকেলে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসেছে বাম জোট। তবে আলোচনা শুরুর পরই বহিরাগতদের সভায় রাখা হয়েছে দাবি করে বাম জোটের সঙ্গে আলোচনা থেকে ওয়াক আউট করেছে টিএসসির সংগঠনগুলো।


দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বামজোট ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১১ দফা উত্থাপন করে। এসময় জোটের পক্ষ হতে বলা হয়, যে সমস্ত সংগঠন উত্থাপিত ১১ দফার সঙ্গে একমত হবে তাদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য করে প্যানেল দিতে চায় বাম জোট। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে বাম জোট ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে এনে একাডেমিক ভবনে করা ও ক্লাসে প্রচারণা চালানোর দাবিসহ আগের দাবিগুলো উত্থাপন করে। একই সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ছাত্রদল আবারো নির্বাচন পেছানোর দাবি করে। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা এখনো হলগুলোয় তৈরি হয়নি। তাই পুরোপুরি সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করে ডাকসু নির্বাচনের দাবি করছে সংগঠনটি। এছাড়া ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটা আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ। আমরাও চাই, ডাকসু যত দ্রুত কার্যকর হোক। কেবল ডাকসু নির্বাচনকে হালাল করতেই যদি সহাবস্থানের নামে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, সেটা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে তামাশা।

আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবিটি জানাচ্ছি।’ এরপরই মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রদল নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতেই ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ এসময় ছাত্রলীগ নির্বাচন নিয়ে নিজ সংগঠনের প্যানেলের বিষয়েও গণমাধ্যমের কাছে উল্লেখ করেন। ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই ছাত্রলীগের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। এছাড়া তারা প্যানেল নিয়ে নেত্রীর গড়ে দেয়া কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন।

বৃহত্তর ঐক্য করতে চায় বামজোট: গতকাল মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। এই সময় তারা নির্বাচনে বৃহত্তর ঐক্য করতে নিজেদের আগ্রহের কথা গণমাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করে। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যের ভিত্তি হিসেবে ১১ দফা ঘোষণাপত্র তুলে ধরে তারা। এই দফাগুলোর সঙ্গে একমত সবাইকে নিয়ে তাদের প্যানেল সাজানো হবে বলে জানিয়েছে বামজোট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবীর। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড একদিকে আমাদের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার করেছে, অন্যদিকে আশঙ্কার মাত্রাও বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সেগুলো উপেক্ষা করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আবারো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করার দাবি করেন তিনি। এসময় ইকবাল কবীর ১১ দফা ষোঘণাপত্র উত্থাপন করেন। দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাস, দখলদারি ও প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রমুক্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের ব্যবস্থা, গেস্টরুম ও গণরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ, শিক্ষা-গবেষণা ও ছাত্র অধিকার সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল, ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক, জাতিগত ও লৈঙ্গিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী অপতৎপরতা নিষিদ্ধ, ’৭৩-এর অধ্যাদেশের অসম্পূর্ণতা দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত, উচ্চশিক্ষা কমিশনের অপতৎপরতা প্রতিরোধ, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার নিয়ে ব্যবসা বন্ধ, শিক্ষার সব স্তরে বেসরকারীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করে সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক একই পদ্ধতির শিক্ষানীতি, শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, তা না হলে বেকার ভাতার ব্যবস্থা, গণমানুষের ন্যায্য আন্দোলনে সংহতি জ্ঞাপন, শাসকশ্রেণির নয়, শ্রমিক-কৃষক-জনগণের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ। সংবাদ সম্মেলনে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনীক, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে গতকাল বিকালে টিএসসির মুনীর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে টিএসসির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে বাম জোট। কিন্তু সভায় বাম জোটের মহানগর ও বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, আছে দাবি করে সভা থেকে বের হয়ে যায় সংগঠনগুলো।
‘আস্থাশীল সহাবস্থানের’ জন্যই নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলের: এদিকে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও মধুর ক্যান্টিনে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে ছাত্রদল। দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এসময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। আবারো নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেন সংগঠনটির নেতারা। ছাত্রদলের নেতারা বলছেন, আস্থাশীল সহাবস্থানের জন্যই ডাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। গণমাধ্যমকে আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটা আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ। আমরাও চাই, ডাকসু যত দ্রুত কার্যকর হোক। কেবল ডাকসু নির্বাচনকে হালাল করতেই যদি সহাবস্থানের নামে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, সেটা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে তামাশা।

আস্থাশীল সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবিটি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা স্থিতিশীল সহাবস্থান চাই। মধুর ক্যানটিনে অবস্থানের পাশাপাশি আমাদের যেসব কর্মীর হলে থাকার অধিকার আছে, তাদের হলে ওঠার ব্যবস্থা করতে হবে। সহাবস্থানের সঙ্গে হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচন ঘিরে গঠিত কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের সেখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’ দাবি আদায় না হলে নির্বাচনে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আকরামুল হাসান বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকতে চাই। সর্বশেষ যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে সেটাতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। যদি একটি নিরপেক্ষ এবং অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা হয় তাহলে ছাত্ররা আবারও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওপর আস্থা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে ছাত্রলীগের চূড়ান্ত প্যানেল: এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন ছাত্রদল ও বামজোট বিভিন্ন দাবিতে অনড় রয়েছে, ঠিক তখন নির্বাচনমুখী ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে হলগুলোতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন কাজ করছে সংগঠনটি। মিছিল সমাবেশের মাধ্যমেও হলে ও ক্যাম্পাসের নিজেদের জানান দিচ্ছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি। গতকাল মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা জানান, তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তাদের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে ছাত্রলীগ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর করে দেয়া কমিটির সঙ্গেও নির্বাচন নিয়ে কাজ চলছে ছাত্রলীগের। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা যারা আছি, আমরা অলরেডি একটা দায়িত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছি। এখানে কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল নেতারা রয়েছেন। আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, আমাদের নেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা, আমরা তার প্রতি আস্থা রাখছি। আপা জার্মানিতে আছেন। ফিরলে আপার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্যানেল ঠিক করবো।’

এদিকে ছাত্রলীগকে সুবিধা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলে রেখেছে বলে যে অভিযোগ করছে ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনগুলো তার প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেছেন, নিজেদের অযোগ্যতা ঢাকতেই প্রশাসন ও ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে ছাত্রদল। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র কোথায় হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপার। ছাত্রদল এ কথাগুলো বলছে, কারণ তারা নিশ্চিত তারা প্যানেল দিয়ে বিজয়ী হতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছে তাদের বয়স ৪০-এর কোঠায়। তারা নির্বাচন করতে পারবে না, তাদের ছাত্রত্বও নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই জন্যই বিষয়গুলো গড়িমসি করছে। আমরা আগেও তাদের আহ্বান জানিয়েছি, আপনারা সাধারণ ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব দেন, আমরা একসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি করি। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে তাদের অবস্থানই নেই। এজন্যই তারা ভয় পেয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। দোষটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিচ্ছে, আমাদেরকে দিচ্ছে।’ হলে ভোটকেন্দ্র রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ৭টিই কিন্তু ইতিমধ্যে বলেছে তারা ভোটকেন্দ্র হলেই চান এবং টিএসসিভিত্তিক ২২টি সংগঠন একসঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে এসে বলেছে তারাও ভোটকেন্দ্র হলেই চান।

  একটি বিশেষ দল যে মেজরিটি শিক্ষার্থীরা হলে থাকেন তাদের নৈতিক অধিকারকে অবমাননা করছে।’ ১৯৯৪ সালে প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে সেসময় বিরোধী ছাত্রসংগঠনের ভূমিকায় থাকা ছাত্রলীগ হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানায়। ক্ষমতাসীন ছাত্রদলের দাবি ছিল ভোটকেন্দ্র হলে রাখার। প্রশাসন ভোটকেন্দ্র হলেই রাখে। সে বিষয়টি তুলে ধরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘একটা কথা আপনারা (গণমাধ্যম) ও তারাও বলে থাকে, ছাত্রলীগও ৯৪ সালে ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে দাবি করেছিল। হ্যাঁ, ওই সময়ের প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ছাত্রদলকে আমরা পহেলা ফাগুনে ফুল দিয়ে বরণ করি, তাদের আমরা চা খাওয়াই, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্যাম্পাস দেখাই। আর ওই সময়ে (১৯৯৪ সালে) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ঢুকতে পারে নাই। তারপরও কিন্তু প্রশাসন ছাত্রলীগের ওই দাবিকে অযৌক্তিক মনে করে বাতিল করে দিয়েছিল। বর্তমানে ছাত্রদল যে দাবি করছে তাকেও প্রশাসন অযৌক্তিক মনে করেই বাতিল করেছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর