× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংসদ নির্বাচন রেকর্ড রাখার মতো সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে: সিইসি

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯, সোমবার, ৩:২৪ পূর্বাহ্ন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রেকর্ডে রাখার মতো সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা ছিল বলেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা সম্ভব হয়েছিলো। আগামী উপজেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সংসদ নির্বাচনের মতো পরিবেশ অব্যাহত থাকবে। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি থেকে ২০১৮ সালে এইরকম বিরল সুষ্ঠু নির্বাচন উত্তরণে আপনারাই ভূমিকা রেখেছেন। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। একেবারে ধংসপ্রায় অবস্থা থেকে, একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থা থেকে একটা সুষ্ঠু অবস্থায় আপনারা নিয়ে এসেছেন। এইজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের আবারো ধন্যবাদ। সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে সেই রকমই পরিবেশ অব্যাহত থাকবে।

সিইসি বলেন, কদিন আগেই আমরা বড় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের সবার মধ্যে তাজা রয়েছে। এমন অবস্থায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা যাকে বলে, তা ঘটেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে  যেমন সহিংসতা ঘটেছিল তা একাদশ নির্বাচনে ঘটেনি। যদিও কয়েকটি ঘটনা ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এইসব প্রাণহানির ঘটনায় ইসি মর্মাহত। কিন্তু এগুলো নির্বাচন কেন্দ্রিক হয়েছে তা বলবো না, বেশির ভাগই ঘটেছে ভোটকেন্দ্রের বাইরে। তবুও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্র রেকর্ডে রাখার মত সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে। এটা আমি দাবি করতে পারি প্রকাশ্যে।

ঢাকা সিটির নির্বাচন মানে হচ্ছে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই নির্বাচনের বিষয়ে কোনোরকম বিচ্যুতি হবে না, এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়  সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচন যাতে অবাধ এবং নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য হয়  সেটার দিকে সবাইকে সর্তকদৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচনে কার কি দায়িত্ব তা সবাই জানেন। আপনারা আপনাদের প্রজ্ঞা দিয়ে, দক্ষতা দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু করবেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রতিযোগিতা বেশি হয়। বিশেষত কাউন্সিলর পদে বেশি প্রার্থী থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। পোলিং এজেন্ট নিয়ে ৯৮ ভাগ অভিযোগের সত্যতা থাকে না। ভোটের দিন অনেক এজেন্ট প্রার্থীর অবস্থা ভালো না দেখলে কেন্দ্র ছেড়ে যান। অনেক দুর্বল প্রার্থী আবার এজেন্টই দিতে পারেন না। এমন বাস্তবতায় ভোট শেষে অনেকে তাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ তোলেন, যা অনেকাংশেই সত্য নয়। প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারে সেজন্য নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠে তিন ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট ছিল জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘তাদের প্রতিদিনের প্রতিবেদন ইসি সচিব পর্যালোচনা করে আমাদের জানাতেন। আমরা প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিতাম। অনেকেই অভিযোগ করতেন, আমাকে প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না, নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এইসব অভিযোগের বিষয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা যাচাইবাছাই করতেন। তবে অভিযোগগুলো প্রমাণ হত না। অভিযোগ যদি তথ্যভিত্তিক হয় সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকে তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়।’

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় ইসির চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও বিগ্রেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিক হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, সভায় মহাপুলিশ পরিদর্শক, ড. জাবেদ পাটোয়ারি, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, বিজিবি প্র্রতিনিধি, ডিজিএফআই পরিচালকসহ বিভিন্ন আইনরশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুরে ১টা পর্যন্ত বৈঠকটি চলে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর