সব ঠিকঠাক ধরে নিলে সেপ্টেম্বরে নেপালে বসবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসর। ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’ খ্যাত এই গেমসে বাংলাদেশ পদক জয়ের সংখ্যা বাড়াতে চায়। গেমসের অনুশীলন খাতে ১২ কোটি ৫০ লাখ এবং অংশগ্রহণের জন্য ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছে বিওএ। কিন্তু এখনো সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। তাই কেবল এসএ গেমসই নয়, দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের জন্য চীনের দিকেই ঝুঁকছেন বিওএ’র কর্তারা। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চুক্তির মাধ্যমে চীনের কাছে চারটি ডিসিপ্লিনের কোচ চেয়েছে বিওএ। এগুলো হলো- অ্যাথলেটিক্স, জিমন্যাসটিক্স, ভারোত্তোলন এবং ব্যাডমিন্টন। আসন্ন নেপাল এসএ গেমসের আগেই এই চার ডিসিপ্লিনে চাইনিজ কোচ দেখা যেতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিওএ’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুদ্দিন হায়দার বলেন,‘আমরা বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাসে চার ডিসিপ্লিনের জন্য চারজন কোচ চেয়ে চিঠি দিয়েছি। বেতন ভাতা ছাড়াই যাতে আমরা কোচদের পাই। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, কোচদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা এবং বছরে দু’টি এয়ার টিকিট দেবো আমরা।’
এদিকে বিদেশি কোচ আনতে চেষ্টা করছে বিভিন্ন ফেডারেশনও। ভারত নয়, ইরান থেকে কোচ আনার চেষ্টা করছে কাবাডি ফেডারেশন। কারণ বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাশের দেশ ভারত। তাছাড়া এখন কাবাডিতে বিশ্ব শাসন করছে ইরান। তাই বিওএ’র পরামর্শে ইরান থেকে কোচ আনার চেষ্টা করছেন কাবাডির কর্তারা। নিউজিল্যান্ড কিংবা কিউবা থেকে কোচ আনার চেষ্টা করছে বক্সিং ফেডারেশন। কোচ খুঁজতে ইউরোপের দিকে হাত বাড়িয়েছে বাস্কেটবল ফেডারেশন। আর ভারোত্তোলনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ অবিনাশ পান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জাকার্তা-পালেম্বাং এশিয়ান গেমসে ইন্দোনেশিয়াকে স্বর্ণপদক পাইয়ে দিয়েছিলেন এই কোচ। পার্ক তেগুন চলে যাওয়ার পর জাপান থেকে কোচ আনার চেষ্টা করছে সাঁতার ফেডারেশন। শুটিংয়ের চোখ ইউরোপে। ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসনের বিদায়ের পর রাইফেলে কোচশূন্য বাংলাদেশ। এই জায়গাটাতেই একজন ভালো মানের কোচ খুঁজছে ফেডারেশন।