লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার চার বছর পর মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ। তদন্ত শেষে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে ১১ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অব্যাহতি পাচ্ছেন তারা। চার্জশিট প্রস্তুতের পর গতকাল তা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর তা আদালতে দাখিল করা হবে। গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এতে সম্পৃক্ত পাঁচ আসামির শুধু সাংগঠনিক নাম জানা গেছে। পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ভবিষ্যতে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি। চাঞ্চল্যকর অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার জনকে। তারা হচ্ছে, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মো. আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ও শাফিউর রহমান ফারাবী। ফারাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে উস্কানিদাতা।
মামলার চার্জশিটে পলাতক দুই আসামি হচ্ছে, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়া ওরফে সাগর ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আবদুল্লাহ। এরমধ্যে জিয়াকে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।