চাহিদার দিক বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরো কয়েকটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনে কোনো সমস্যা দেখছেন না
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন মনে করেছে বলেই নতুন ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে। সেবার মান ঠিক থাকলে ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নই। গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে নতুন ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আমি এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলবো না, তিনটি ব্যাংক সম্বন্ধে আমাকে জানতে হবে। গভর্নর মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করলে আমরা তথ্য পাবো, তখন কথা বললে ভালো হবে।
তবে পরক্ষণেই তিনি বলেন, সেন্ট্রাল ব্যাংক ডেফিনেটলি প্রয়োজন না থাকলে এ কাজ (নতুন ব্যাংক অনুমোদন) করতো না। তাদের হয়তো বিশ্লেষণ আছে, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন এবং সেই প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে হয়তো তারা করে থাকতে পারেন।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমি এখনো আলাপ করিনি, আলাপ করে জানাবো।
আরেক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কয়টা ব্যাংক আছে- এটা বড় ব্যাপার না। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, নিয়মনীতি মেনে চলে এবং যা ব্যাংক আছে সংখ্যা দিয়ে কোনো কিছু হবে না। ব্যাংকের কার্যক্রম যদি থাকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক করা, কাস্টমারদের যদি সার্ভিস দিতে পারে এবং নিয়মের মাঝে দিতে পারে, অনিয়মের মাঝে না, তাহলে ইন দ্যাট কেইস নম্বর নিয়ে আমি চিন্তিত না।
৫০টি না করে আপনি বড় একটা করেন সেই একই কথা হলো। আমি মনে করি, নম্বর দিয়ে না, আমাদের চাহিদা আছে কি না, যদি চাহিদা নিরূপণ করে করা হয়ে থাকে ইন দ্যাট কেইস ফাইন। আমার বিশ্বাস সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই কমপ্লিটলি একটা স্টাডি করে সেই স্টাডির ভিত্তিতেই তারা কাজটি করেছেন।
নতুন ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে পেইড আপ ক্যাপিটাল ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করায় সমর্থন দেন তিনি। আস্তে আস্তে যদি তারা বাড়িয়ে নেয় দ্যাট কেইস সেক্টরটা বড় হয়, আমার মনে হয় সেই উদ্দেশ্যেই তারা করেছেন। স্লোলি বা গ্রাজুয়ালি বাড়াতে পারে ইন দ্যাট কেইস সেটা ভালো হবে।
ক্লাসিফাইড লোনকে ব্যাংকের সমস্যা উল্লেখ করে এই লোনগুলো কীভাবে ক্লাসিফাইড হয়েছে তা দেখতে শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ক্লাসিফাইড লোন আশির দশক থেকে হয়ে আসছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমার মনে হয় প্রথমে ক্লাসিফাইড লোনের পরিমাণ যত বেশি হয় ব্যাংক ইস্টারেস্ট বেড়ে যায়, স্প্রিডটা বেড়ে যায়, এগুলো কমাতে হবে, সেজন্য ক্লাসিফাইড লোনে হাত দিতে হবে। দেখতে হবে কীভাবে লোনগুলা ক্লাসিফাইড হলো, সেগুলো দেখার জন্য আমরা শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করছি, আপনারা দেখতে পাবেন আমরা স্পেশাল অডিট করে কথা বলবো।