× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্ত্রী হত্যা / ভাইস চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার

 স্ত্রী লিপি রাণী দেবকে (৩৪) হত্যার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেবের বিচার চেয়ে মানববন্ধন হয়েছে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। এদিকে লিপিকে হত্যার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানায় নিহতের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হয়েছে। মামলা গ্রহণ করেননি থানার ওসি। নিহত লিপি নাসিরনগর উপজেলা সদরের দত্তপাড়া মহল্লার তুলশি রঞ্জন দেবের মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপজেলা সদরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হওয়া মানববন্ধনে উপজেলার অন্তত ৫০-৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় বক্তৃতা করেন নাসিরনগর আশুতোশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষক পার্থ প্রতিম সৌম, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হরিপদ পোদ্দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অরুণজ্যোতি ভট্টাচার্য, গৌর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান চৌধুরী, ফান্দাউক ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দেব, নিহতের মা মঞ্জুরানী দেব, সহপাঠী ইসমতারা আক্তার প্রমুখ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল কবীরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।  গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি লিপি দেবকে মৃত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ থেকে বাপের বাড়ি নাসিরনগরে পাঠানো হয়।
তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের  দাবি লিপি বিষপান করেছিল। আর লিপির পরিবারের লোকজন স্বামী শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টেও লিপিকে গলাটিপে স্বাসরুদ্ধ করে হত্যার উল্লেখ রয়েছে। গলার দু-পাশে চেপে ধরায় আঙুলের দাগ এবং মরণোত্তর কালো শিরার চিহ্ন দেখা গেছে বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। এছাড়া শরীরের আরো কয়েকস্থানে জখম থাকার উল্লেখ করা হয়। অবশ্য পুলিশের করা এই সুরতহাল রিপোর্টের একদিন পর ১৭ই ফেব্রুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আবারো লিপির মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করানো হয়। এদিকে গতকাল নিহতের ভাই চপল কুমার দেব তার ভগ্নিপতি মানিক কুমার দেবসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে অষ্টগ্রাম থানায় যান। তবে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মামলা নেবেন বলে বাদীকে ফিরিয়ে দেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর