× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাষাসৈনিক শামসুজ্জোহার ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার



আজ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরোণত্তর) একেএম শামসুজ্জোহার ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একাধারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থী শিবিরে তিনি ‘ত্রাণবন্ধু’ নামে পরিচিত ছিলেন। প্রয়াত এই জননেতা সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে বিজয়ের বার্তা প্রচার করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। ওইদিন অপরাহ্নে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাক সেনাদের হাতে আটক বঙ্গবন্ধু পরিবারকে মুক্ত করতে গিয়ে পাক সেনা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের একটি সুধী সমাবেশে সেই ঘটনাটি নিজ মুখে বর্ণনা করেছিলেন। প্রয়াত শামসুজ্জোহার সহধর্মিণী ও রত্নগর্ভা নাগিনা জোহাও ছিলেন ভাষাসৈনিক। তাঁর বড় ছেলে প্রয়াত জননেতা ও সাবেক এমপি নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট নবপরিণীতা বধূকে রেখেই প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।
এরপর শামসুজ্জোহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি ও শহীদ জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী একই সেলে বন্দি ছিলেন। শামসুজ্জোহা ছিলেন ওই কলঙ্কিত ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী। প্রয়াত শামসুজ্জোহার মেজো ছেলে বিএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান এমপি একাধিকবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত শামসুজ্জোহাকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে মরহুমের পরিবার ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন দিনভর কর্মসূচি পালন করবে। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনখানি, শোক র‌্যালি, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা। মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে মেজো ছেলে সেলিম ওসমান এমপি ও ছোট ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান এমপি সবাইকে রুহের মাগফিরাত কামনায় চাষাঢ়াস্থ পৈতৃক বাড়ি হীরা মহল সংলগ্ন মসজিদে বাদ আসর আয়োজিত মিলাদ ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করার আকূল আবেদন জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর