× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে সরকারি কর্মচারী হত্যায় দুই সহোদরের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার

কিশোরগঞ্জে বিএডিসি বীজ গুদামের কর্মচারী আব্দুল খালেক সরকার (৫৭) হত্যা মামলায় আক্কাছ মিয়া (৩১) ও তারা মিয়া (৫১) নামে দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও দুই সহোদরকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত আক্কাছ মিয়া ও তারা মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে। খালাস পাওয়া ছয় আসামি হলেন, তারা মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২৭), মৃত আবেদ আলীর ছেলে মনজিল মিয়া (৩৮), মৃত তাহেরের ছেলে আংগুর মিয়া (৪১), সাহাব উদ্দিনের ছেলে খায়রুল (৩৬), আক্কাছ মিয়ার স্ত্রী সাহানা (৩০) ও আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী হোসনা আক্তার (৩৬)। অন্যদিকে নিহত আব্দুল খালেক সরকার একই গ্রামের মৃত তালে হোসেন সরকারের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত দুই সহোদর আক্কাছ মিয়া ও তারা মিয়া সম্পর্কে নিহত আব্দুল খালেক সরকারের চাচাতো ভাতিজা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত আব্দুল খালেক সরকারের সাথে তারা মিয়া ও আক্কাছ মিয়াদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
২০১২ সালের ৩০শে জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত আব্দুল খালেক সরকারের বড় ছেলে আসাদুর রহমানের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় আব্দুল খালেক সরকার তাদের নিবৃত্ত করতে এগিয়ে গেলে তারা মিয়ার হুকুমে আক্কাছ মিয়া শাবল দিয়ে আব্দুল খালেক সরকারের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে আব্দুল খালেক সরকার ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন পহেলা জুলাই নিহতের ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট মো. সাইদুর রহমান রাসেল বাদী হয়ে তিন সহোদর আক্কাছ মিয়া, তারা মিয়া ও মনজিল মিয়া, তারা মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া, আক্তাছ মিয়ার স্ত্রী সাহানা, আঙ্গুর মিয়া ও তার স্ত্রী হোসেনা আক্তার এবং খায়রুল এই আটজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ আব্দুল্লাহ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য-শুনানি শেষে মঙ্গলবার মামলাটির রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
সরকার পক্ষে এপিপি রাখাল চন্দ্র দে এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন খান ও লুৎফুর রশীদ রানা মামলাটি পরিচালনা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর