মিরপুরের একাডেমি মাঠে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএল খেলা সঞ্জিত সাহা ও রংপুর রাইডার্সের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। এই দুজনের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব নাহিদুলকে নিলেও সঞ্জিত সাহাকে নেয়নি কোনো দল। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে নাহিদুলকে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরীক্ষায় পাস করতে পারলেই কেবল করতে পারবেন বোলিং। তবে বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করেই প্রিমিয়ার নাম লেখাতে হবে সঞ্জিতকে।
সঞ্জিতের বোলিং অ্যাকশন কিছুটা ব্যতিক্রমী। বলা যেতে পারে আর দশজন বোলারের মতো নয়। দুবার নিজেকে শুদ্ধ প্রমাণ করতে গিয়ে আরও ব্যতিক্রমী হয়ে গেছে তার অ্যাকশন।
করেন সাইড আর্ম বোলিং। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে সঞ্জিতের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। সেটা প্রথম। পরে ২০১৭ সালে প্রিমিয়ার লীগ খেলে একই কারণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। দুই বারই পরীক্ষা দিয়ে ছাড়পত্র পান ২১ বছর বয়সী এ স্পিনার। বিপিএল খেলে একই কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন আবারও। বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়েই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন সঞ্জিত। অথচ টুর্নামেন্ট শেষ হতে না হতেই জোটে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ। তিনবার ঘটল এমন ঘটনা। তরুণ অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা দ্বীপের ক্যারিয়ারই তাতে হুমকির মুখে। গতকাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে যার অধীনে যার পরীক্ষা দিয়েছেন সঞ্জিত, সেই ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু জানালেন বিস্ময়কর তথ্য, ‘এটা ইন্টারেস্টিং, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই তার (সঞ্জিত) বিরুদ্ধে। আম্পায়াররা বলছে, কিছু ডেলিভারি, তবে কোনো ধরনের ডেলিভারি সেটা নিয়ে কিছু বলেনি। এবার আমরা চিন্তা করেছি ম্যাচের ভিডিওসহ আম্পায়ারদের সঙ্গে বসে তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেব।’ বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পরীক্ষা প্রসঙ্গে বললেন, ‘সঞ্জিত সাহা, নাহিদুল ইসলাম ও প্রথম বিভাগের একজন বোলারের পরীক্ষা আমরা নিয়েছি। ১৮টা করে ডেলিভারি তারা করেছে। তাতে তিন ধরনের বোলিং ছিল- স্টক ডেলিভারি, ফাস্টার ডেলিভারি এবং ভ্যারিয়েশন।’ তিন বোলারের পরীক্ষার ফল পেতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। যদি তাদের অ্যাকশন শুদ্ধ হয় তাহলেই কেবল প্রিমিয়ার লীগে বোলিং করতে পারবেন।