× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের সচেতন হওয়ার আহ্বান

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ জনপ্রতিনিধিদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম মহানগরে জনসংখ্যার চাপ বেড়েছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি, অতি বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি , বন্যা-খরা, পাহাড় ধসে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মঙ্গলবার সকালে কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে দুঃস্থতা সমীক্ষা বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও এলইউপিসি’র সিটি ম্যানেজার ড. সোহেল ইকবালের সঞ্চালনায় আলোচ্য কর্মশালার মতামত ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো.মোবারক আলী, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, মো. শফিউল আলম, মনোয়ারা বেগম মনি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোডেকের প্রধান নির্বাহী কমল সেন।
কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের দুঃস্থতা সমীক্ষা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন এশিয়ান ডিজস্টার প্রিপেয়ার্ডন্সে সেন্টার (এডিপিসি)’র ফিজিক্যাল ভালনারেবল কো- অর্ডিনেটর মো. সাখাওয়াত হোসেন। কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের (ভৌত ও আর্থ সামাজিক) বিপদাপন্নতা মূল্যায়ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আপদ, বিপদাপন্নতা মূল্যায়নে এক্সপোজার, সেন্সিটিভিটি এডাপ্টিভ ক্যাপাসিটি নিয়ে আলোচনা হয়।
এতে আপদকালীন সময়ে আক্রান্ত স্থানকে এক্সপোজ করা, মানব সৃষ্ট কারনে কোন স্থান বা সম্প্রদায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বেশি বিপদাপন্ন করলে কিভাবে তা মোকাবেলা করা যায় এ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসে। অনুষ্ঠানে মানুষ, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন করতে পারে এরূপ সম্ভাব্য ঘটনাকে আপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আপদ গুলো হলো- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছস, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা, খাবার পানির সংকট ও ভূমি ধস। সম্ভাব্য এই আপদ গুলোর কারনে যে সকল অবকাঠামো ও স্থান আক্রান্ত হতে পারে। সেগুলো হলো আবাসিক ভবন, রাস্তাঘাট ব্রিজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন, হাসপাতাল, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ,বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। কর্মশালায় কাউন্সিলরগন নগরীর যে সকল স্থানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানো যায় কিনা, সৌর্ন্দযবর্ধিত করণ, ইউএনডিপি এর সহযোগিতা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতামূলক নাটক প্রর্দশন, খাল, নদী, সমুদ্রের ভাঙনের বিষয়কে বিবেচনায় আনা, সুপেয় পানির অভাব, পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে বলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর