× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাবিল মেম্বার হত্যা ৬ দিন পরও মামলা করার সাহস পায়নি পরিবার

বাংলারজমিন

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

প্রতিপক্ষের অব্যাহত হামলা ও হুমকি সইতে না পেরে প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়িয়েও নিজ প্রাণ রক্ষা করতে পারেনি মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের কাবিল মেম্বর। অবশেষে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেল তার। জানা যায়, দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনের সমর্থকদের হামলায় নিহত হয় কাবিল মেম্বার। ১৩ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় আহত হয়ে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোরে তার মৃত্যু হয়। ইউপি সদস্য কাবিল মেম্বারকে পিটিয়ে হত্যার ৬দিন পার হলেও কোনো মামলা করেনি নিহতের পরিবারের লোকজন। ভয়ে মুখও খুলছে না নিহতের পরিবার। সরজমিন নিহত পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে দেখা যায় ওই পরিবারের সদস্যদের চোখে-মুখে ভয় আর আতঙ্কের ছাপ। নিহতের ঘটনার ৬দিন পার হয়ে গেলেও কেন মামলা বা অভিযোগ হয়নি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে কোনো ভাবেই মুখ খুলতে রাজি হয়নি ওই পরিবারের লোকজন।
নিহত কাবিল মেম্বারের স্ত্রী খুশি বেগমের নিকট এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কোনোভাবেই মুখ খুলতে রাজি হয়নি তাছাড়া তার চোখে-মুখে ভয় ও আতঙ্কের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। নিহত কাবিল মেম্বারের যমজ ভাই হাবিল বলেন, মামলা করলেও তো আমাদের এখানেই বসবাস করতে হবে তাই মামলা করার আগে একটু ভাবনা চিন্তার বিষয় আছে। এর বেশি তিনি কিছুই বলতে পারবেন না বলে ছাপ জানিয়ে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাবিল মেম্বার নিহতের পর থেকেই ওই পরিবারের লোকজনের প্রতি কড়া নজর রেখেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। যার কারণে তারা মামলা বা অভিযোগ করার মতো কোনো সাহসই পাচ্ছে না। এ ছাড়া মামলা করলে  পরিণাম আরো খারাপ হবে বলে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী মিয়া জানান, কাবিল মেম্বার তার পরিষদের মেম্বার হওয়ার পর তার সঙ্গে কাবিল মেম্বারের সখ্য হওয়াটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি লিটন ও তার লোকজন। তাকে কয়েকদফা লিটনের লোকজন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে আসছিল। এ ছাড়া প্রাণে বাঁচতে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল কাবিলসহ গ্রামের অর্ধশত লোক। লিটনের লোকজনই কাবিলকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে  তিনি জানান। মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রোজোয়ান জানান, কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা রুজু করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর