সিলেটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের হাজী শামীম আহমদ। এক সময় ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির আলোচিত নাম ছিল শামীম। এই দুর্নাম ঘুচাতে এবার শামীম উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। নিজ দল আওয়ামী লীগে চেয়েছিলেন মনোনয়ন। পেয়েছেন অন্যজন। মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে হয়েছে নানা নাটক। এসব নাটকে জয় শামীমেরই। মার্কা পেলেও ভালো না পেলেও ভালো- এমন তরিকা শামীমের নির্বাচনী প্রস্তুতি ছিল।
মার্কা পাননি, তবে মাঠ ছাড়েননি। বিদ্রোহী হয়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এবার নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন শামীম। বিরোধীরা সজাগ। মাঠ থেকে আউট হয়ে যেতে পারেন। এমন শঙ্কায় নতুন ফর্মুলা নিলেন তিনি। একা নয়, তার পরিবার থেকে মনোনয়ন দিলেন আরো দু’জন। শামীমের পিতা আলহাজ আবদুল বাছির। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। গেল বার তার পিতাও পাননি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী। তখন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন শামীম। পিতাকে জয়ী করতে মাঠে নামে। ফলস্বরূপ পিতা আবদুল বাছির নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এবার বয়োবৃদ্ধ আবদুল বাছির আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন করবেন না। এরপরও শামীম শঙ্কায় বসে থাকেননি তিনি। পরিবার থেকে কর্তৃত্ব ছিনতাই হতে পারে- এমন শঙ্কায় তিনিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পাশাপাশি শামীম তার স্ত্রী জরিনা বেগমকেও এবার নিয়ে আসেন লাইমলাইটে। নিজের মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি স্ত্রী জরিনা বেগমেরও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
একই পরিবার থেকে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই সিলেটে। খবরের শিরোনাম হয়েছেন শামীম আহমদ। নিজের নামে মামলা রয়েছে। বিরোধীরা সক্রিয় থাকায় নানা অঘটন ঘটতে পারে। এ কারণে তিনি ঝুঁকি নিলেন না। নিজের মনোনয়ন দাখিলের পাশাপাশি পিতা ও স্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। গতকাল ছিলো মনোনয়নপত্র বাছাই। সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মনোনয়ন বাছাইয়ে শামীমসহ তার পরিবারের তিনজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপরও শঙ্কা কাটছে না শামীমের। বিরোধীরা আদালতে যেতে পারে। যেকোনো ভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে পারে। এখন কী করবেন তিনি। পিতা আবদুল বাছির নির্বাচন করবেন না। কৌশল হিসেবে স্ত্রীকে রাখতে পারেন মাঠে। ডামি প্রার্থী হিসেবে স্ত্রী জরিনাও থাকতে পারেন নির্বাচনে। তবে- এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
গতকাল জানালেন- তিনি কোনো দল কিংবা বলয়ের নয়। তিনি গোটা কোম্পানীগঞ্জের মানুষের প্রার্থী। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ফলে তার ভোটের মাঠ সাজানো। জয়ী হতে পারবে না বুঝে অনেকেই অনেক কিছু করতে পারে। এমন শঙ্কায় এখনো তিনি রয়েছেন। তার পরিবার থেকে কে থাকবেন চূড়ান্ত প্রার্থী সেটি তিনি কোম্পানীগঞ্জের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করবেন।