× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জামিন শুনানিতে আইনজীবীর প্রশ্ন /পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র কীভাবে এলো?

বাংলারজমিন

রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আত্মসমর্পণের জন্য মাস ধরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র কীভাবে এলো? এ প্রশ্ন তুলেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। আত্মসমর্পণকারী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ভাই আব্দুস শুক্কুরসহ ১০ স্বজনের জামিন শুনানিতে আদালতের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানার আদালতে তারা জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেন। আসামিদের কারাগারে রেখেই গোপনে চাওয়া জামিন আবেদনের খবরটি চেপে রাখা হলেও মঙ্গলবার রাতে তা প্রচার হয়। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ ইয়াবা কারবারি। পরে ইয়াবা ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি এ দুটি মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা দেয়ার ইঙ্গিত দেন। এর একদিনের মাথায় বদির স্বজনরা জামিনের আবেদন করেন এবং আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হন।
আদালতে জামিন আবেদনকারী ১০ ইয়াবা কারবারি হলেন- আব্দুর রহমান বদির ভাই আব্দুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক, ফয়সাল রহমান, ফুফাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, ভাগনে সাহেদ রহমান নিপু, চাচাত ভাই মো. আলম, খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, বদির ভাই আব্দুস শুক্কুরের ব্যবস্থাপক মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু ও মোজাম্মেল হক। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মো. মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম ও মো. রফিক উদ্দিন চৌধুরী।
সিনিয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ শুনানিকালে বলেন, আমার মক্কেলরা কেউ ২০ দিন, কেউ এক মাস আগে পুলিশি হেফাজতে আসেন। কিন্তু তাদের নামে করা মামলায় দেখানো হয়েছে তাদের অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মেরিন ড্রাইভ থেকে আটক করা হলো। তাদের দাবি, আত্মসমর্পণের জন্য মাসযাবৎ পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র কীভাবে এলো? আদালত সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারির মাঝে বদির ভাই আব্দুস শুক্কুরসহ ১০ আসামি জামিনের আবেদন করে সোমবার। আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন মঙ্গলবার। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জেরিন সুলতানা আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। জামিন শুনানিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। কক্সবাজার জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, আত্মসমর্পণকারী ১০ জন ইয়াবা কারবারি জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর