সারা পৃথিবীর চোখ এখন তুরস্কে। এক নতুন তুরস্ক দেখছে বিশ্ব। ‘ইউরোপের রুগ্ণ দেশ’ হিসেবে খ্যাত তুরস্ক এখন আঞ্চলিক রাজনীতির নেতৃত্ব থেকে ধীরে ধীরে বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম প্রভাবক। তুরস্কের সমসাময়িক ও অতীত ১০০ বছরের রাজনীতি নিয়ে বই লেখেছেন তুরস্কের আঙ্কারায় গাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ। বইটি প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান প্রকাশনী। আজ থেকে বইমেলায় ৪৭০ নং স্টলে পাওয়া যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সাবেক এক শিক্ষার্থী বইটির ব্যাপারে বলেন, কামাল আতার্তুক পূর্ব তুরস্ক তথা ওসমানী খেলাফতের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং শেষ সময়ে পশ্চিমা প্রভাবকে সংক্ষেপে এনেছি। যাতে আতার্তুক, তার অনুসারী এবং একবিংশ শতাব্দীর নতুন তুরস্কের রূপকার এরদোগানের সঙ্গে সহজেই তুলনা করা যায়।
বৃহৎ পরিসরে আতাতুর্ক থেকে এরদোগান পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিক্রমাকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। বইটি পড়ে পাঠকরা তুরস্কের ৬৩৬ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ইসলামী সংস্কৃতি থেকে কীভাবে তুরস্ক কট্টর সেক্যুলার সমাজ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পড়লো তা জানতে পারবে। আতাতুর্কের সংস্কারগুলো সমাজে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে-কীভাবে অটোমান চেতনা নিয়ে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন শুরু হলো। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা আর ইসলামী আন্দোলনের স্বভাব পথচলা কি একই জিনিস। আজকের তুরস্ক কতটা প্রাসঙ্গিক। এত কিছুর পরেও বর্তমান তুরস্কে কামাল আতার্তুক কীভাবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বাম, ডান, সেক্যুলার কিংবা ইসলামিস্ট সকলের জনপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে। লেখকের বিশ্বাস, আজকের বাংলাদেশে ‘আতার্তুক থেকে ‘এরদোগান’ পাঠ খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। পাঠকরা ৫৬ হাজার বর্গমাইল দূরে বাংলাদেশে বসে তুরস্কের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিতে পারবেন। তুমুল অন্ধকারে আলোর রেখা খুঁজে পাওয়াটা যে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।