চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অ্যানফিল্ডে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লিভারপুল। এর আগেও ১৯৭১ সালে এই অ্যানফিল্ডে উইনার্স কাপে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুর ও বায়ার্ন। ওই ম্যাচটিও হয়েছিল গোলশূন্য ড্র। ১৯৮১ সালেও ইউরোপিয়ান কাপের ম্যাচেও গোলশূন্য ড্র করেছিল দু’দল। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচেও গোল দেখতে পেল না ফুটবলপ্রেমীরা। তবে এই ড্র নিয়ে চিন্তিত নয় লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘ফলটা ঠিকই আছে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। এখানেই শেষ নয়। এই ম্যাচ থেকে যা শিখেছি তা দ্বিতীয় লেগে কাজে লাগাতে হবে।’ বায়ার্নের বিপক্ষে লিভারপুলের মিশরীয় স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ এবং সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে কয়েকবার গোলের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিলেন। ক্লপ বলেন, ‘আমি খুশিতে আটখানা নই। কিন্তু আমি পুরোপুরি ঠিক আছি। আমরা ভালো খেলতে পারি। আমাদের ভালো খেলা উচিত। প্রথমার্ধে আমরা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই তেমন সুযোগ  তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয় লেগ নিয়ে ভয়ে বার্সা কোচ
লিঁওর মাঠে যাওয়ার আগে লা লিগায় রিয়াল ভায়েদোলিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে কষ্টার্জিত জয় পায় বার্সেলোনা। আর লিঁওর বিপক্ষে দল ছন্দে ফিরবে, ম্যাচের আগে বার্সা কোচ আরনেস্তো ভালভার্দের এমন প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত দীর্ঘশ্বাসে রূপ নেয়। আর গোলশূন্য পারফরম্যান্সকে ভয়ঙ্কর ফল হিসেবেই দেখছেন তিনি। বার্সার স্প্যানিয়ার্ড কোচ ভালভার্দে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতা অত সহজ নয়। আমরা অবশ্যই দাপট দেখিয়েছি এবং তারাও এই মৌসুমে এখনো হার দেখেনি। লিঁও শুরুতে সুযোগ পেলেও আমরা ম্যাচে ফিরে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিই। অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু ফুটবল সাফল্যের খেলা। আজ সেটি আমরা পাইনি। গোলশূন্য ফল বিপজ্জনক। নিজ মাঠে আমরা মজা করতে নামবো না।’ ন্যু ক্যাম্পে শেষ ষোলো রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বার্সাকে। ১টি অ্যাওয়ে গোল পেলেই দ্বিগুন সুবিধা পাবে লিঁও।