× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাইকো মামলার শুনানি পেছালো

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তাকে হাজির না করায় শুনানি পিছিয়ে ৩রা মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। কারা কর্তৃপক্ষ হাজিরা পরোয়ানায় জানিয়েছে, খালেদা জিয়া ঘুম থেকে ওঠেননি। এ জন্য তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।
বুধবার পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৯-এ নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। বেলা ১২টার পর এজলাসে ওঠেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়নি। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত তখন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, ‘খালেদা জিয়া কোথায়?’ এ সময় এজলাসে উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি আদালতকে জানান, ‘খালেদা জিয়া ঘুম থেকে ওঠেননি।
তাই আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।’
আদালত এ সময় বলেন, একজন আসামি উপস্থিত না থাকলে অভিযোগ গঠনের শুনানি করা সম্ভব নয়। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। এজন্য ঘুম থেকে উঠতে পারেননি।’ জবাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া সম্মানিত নারী। কারাবিধি অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা পাবেন।’
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আদালতে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত তখন বলেন, আজই এ ব্যাপারে আদেশ দেব।
গত ১২ই ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানিতে খালেদা জিয়া তার আইনজীবীদের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তখন তার আইনজীবীরা চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত বলেছিলেন উচ্চ আদালতের আদেশ দেখে পরবর্তীতে আদেশ দেয়া হবে।
আদালতে উপস্থিত নাইকো মামলার আসামি মওদুদ আহমদ দুদকের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘খালেদা জিয়াকে কেন আদালতে আনা হলো না? এটা আমাদের জানতে হবে। আদালতে আসা না আসা খালেদা জিয়ার ওপর নির্ভর করে না। তিনি গুরুতর অসুস্থ।’ তার কথার জবাবে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে আছেন, তা তো কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।’
মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ কি চাইলে খালেদা জিয়াকে আনতে পারেন না? পারেন। কিন্তু উনি সম্মানিত ব্যক্তি। আমরাও তাহলে কর্তৃপক্ষকে বলব, যেভাবে পারেন নিয়ে আসবেন। অসুস্থতার জন্য ঘুম থেকে ওঠেননি এ কথা ঠিক নয়।’
মওদুদ আহমদ তখন মোশাররফ হোসেন কাজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে আছেন মানে কী?’ জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছেন।’ তখন উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সমস্বরে বলে ওঠেন, খালেদা জিয়া এর আগে ঠিকই আদালতে হাজির হয়েছেন।
আদালতে না আসা নিয়ে তখন দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে বিচারক বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ না আসার কারণ জানিয়েছে। আগামী ৩রা মার্চ অভিযোগ গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হলো।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জয়নুল আবেদীন মেসবাহ প্রমুখ।
খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের এ কারাগারে বন্দি আছেন। সেখানেই অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে তার বিচার চলছে। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে পাঁচ বছর সাজা ঘোষণা হলে তাকে এ কারাগারে নিয়ে আসে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
জরুরি আমলের সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে গ্যাসচুক্তি করায় রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ই মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর