× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি পরিবার নিখোঁজ

প্রথম পাতা

দীন ইসলাম
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

মা, ছেলে ও মেয়ে। থাইল্যান্ডের পর্যটন শহর পাতায়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে নিখোঁজ এ পরিবারটি। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এমনটাই জানান নিখোঁজ ডা. উম্মে হাবীবা রাজিয়া খাতুন মুক্তির স্বামী ব্যবসায়ী মো. জাবেদ আবসার চৌধুরী। বিষয়টি থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের নজরে এলে তারা জাবেদ আবসারের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলেন। এরপর বিষয়টি সম্পর্কে পাতায়া সিটি পুলিশ স্টেশনের প্রধানের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

কাউন্সিলর এ.কে.এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জেনেছে যে, তিন বাংলাদেশি পর্যটককে সাতদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই চিঠিতে নিখোঁজদের নামসহ পাসপোর্টের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে থাইল্যান্ডের ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর মো. নাজমুল কাউনাইন মানবজমিনকে বলেন, এক পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিখোঁজ সম্পর্কে ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। এরপর বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

নিখোঁজদের সম্পর্কে জানতে মো. জাবেদ আবসার চৌধুরীর সঙ্গে ফেসবুকে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেন, বিষয়টি জানিয়ে পাতায়া পুলিশের প্রধানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এদিকে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি মো. জাবেদ আবসার চৌধুরী মিসিং নিউজ শিরোনামে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তার পরিবার ঢাকা থেকে ব্যাংকক যায়। সাতদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না।

স্ট্যাটাসের সঙ্গে পাঁচটি ছবি পোস্ট করেন জাবেদ আবসার চৌধুরী। এর মধ্যে তার স্ত্রীর একটি একক, তিনটি ছবিতে স্ত্রী ও কন্যা ও একটি ছবি দুই সন্তানের। স্ট্যাটাসে স্ত্রী ডা. উম্মে হাবীবা রাজিয়া খাতুন মুক্তি (পাসপোর্ট নং-বিকিউ ০৩০৮৩৩৮), কন্যা আর্জুমান্দ আবসার চৌধুরী (পাসপোর্ট নং-বিটি ০৫৩৪৫১০) এবং ছেলে নুরুল আবসার চৌধুরী (পাসপোর্ট নং-বিটি ০৫৩৪৫০১) নিখোঁজ জানিয়ে এক মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে দয়া করে জানাবেন।

মো. জাবেদ আবসার চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের সঙ্গে দূতাবাসের চিঠির হুবহু মিল দেখা যায়। অ্যাম্বাসেডর মো. নাজমুল কাউনাইন বলেন, জাবেদ আবসার চৌধুরীকে ফোন করে তাকে থাইল্যান্ড আসার অনুরোধ করেছি। দেখা যাক, এখন তিনি কী করেন। এদিকে মো. জাবেদ আবসার চৌধুরীর ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি এলএনবি অটোমোবাইলস নামে কোম্পানির পরিচালক।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন জেনারেল হসপিটালের যুগ্ম সম্পাদক, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হসপিটাল মেডিকেল কলেজের নির্বাহী কমিটির ডোনার মেম্বার, এনএসি অটোমোবাইলসের প্রোপাইটর ও এনএসি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফেসবুক পেজে পরকীয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট শেয়ার করেছেন তিনি। এ বিষয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর