× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৩ বছর পালিয়ে বেড়ানোর পর গ্রেপ্তার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মুড়িকান্দি গ্রামের মৃত তনু মিয়ার ছেলে রতন মিয়া (৫৫) এর বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে একটি গণধর্ষণের মামলা হয়। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানার পর পরই আত্মগোপনে যায় রতন। ১৯৯৮ সালে মামলার রায় হলে রতন মিয়াকে পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে নিজেকে আড়াল করতে মাজারে মাজারে দিন কাটায় রতন মিয়া। এভাবে পুলিশের চোখকে সে ফাঁকি দিয়েছে দীর্ঘ ২৩টি বছর।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বুধবার রাতে নেত্রকোনা জেলার মদনের মদনপুর মাজারের উরস থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ছদ্মবেশী এই ধর্ষক। রাত ৯টার দিকে মদনপুর মাজারের উরস থেকে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের সহায়তায় করিমগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। করিমগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব, এসআই রুহুল কাইয়ুম, এএসআই ফারুক হোসেন, এএসআই ফজলুল হক, এএসআই আজিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেন।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান জানান, রতন মিয়ার নামে ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (গ) ও ৬ (২) ধারায় থানায় মামলা (নং-১০(১২)১৯৯৫) দায়ের হলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আদালত থেকে তাকে পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সে দীর্ঘ ২৩ বছর মাজারে মাজারে পলাতক অবস্থায় ছিল। নানা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ গত বুধবার রাতে নেত্রকোনা জেলার মদনপুর মেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর