ইউএনডিপি সংস্থায় চাকরি দেয়ার নাম করে কলারোয়া সরকারি কলেজসহ অন্য কলেজের ৪ ছাত্রীর নগ্ন ছবি জোরপূর্বক মোবাইলে ধারণ করার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ বন অফিসের পাশ থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজ কুমার পাল তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো- কলারোয়া থানার হিজলদি গ্রামে মৃত হারেজ উদ্দিন মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলাম মোল্যা (৪৫) এবং একই এলাকার নজরুল ইসলাম গাইনের মেয়ে কলেজছাত্রী শ্যামলী (২০)। এ ঘটনায় এক কলেজছাত্রী শ্যামনগর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনের ৩০ নং মামলা করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম নিজেকে ইউএনডিপি সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। ওই সংস্থায় মোটা অঙ্কের টাকায় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কলেজের ৪ ছাত্রীকে শ্যামলীর মাধ্যমে ম্যানেজ করে। পরবর্তীতে গত বুধবার সংস্থায় ট্রেনিং-এর নাম করে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সুশীলন রিসোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতারক রফিকুল ওই ৪ ছাত্রীকে রিসোর্ট সেন্টারে ৩০৩ নং কক্ষে আটকে রেখে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
ঘটনাটি ভুক্তভোগী এক ছাত্রী কৌশলে শ্যামনগর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার ও ৪ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পুলিশ প্রতারক রফিকুলের কাছ থেকে নগ্ন ছবিসহ একটি আইফোন ও একটি আই ল্যাপটপ জব্দ করে। শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত ৪ ছাত্রীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম নিজেকে কলারোয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, আমাকে কিছুদিন আগে ঢাকা শিক্ষা অফিসে ওএসডি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।