ঢাকা চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিহত কাজী এনামুল হক অভির বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুরে। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে সদ্য বিবিএ পাস করেছেন। টার্গেট বিসিএস ক্যাডার হওয়া। ছোট কোন চাকরির আবেদন তিনি কখনো করেননি। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। বাবা-মাকে তিনি প্রায়ই বলতেন- দেখ তোমাদের ছেলে (এনামুল হক) একদিন বড় অফিসার পদে চাকরি করবে। সব স্বপ্ন গত বুধবার রাতে ঢাকা চকবাজার ট্র্যাজেডির আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ভাতিজা জুলহাস কাজীর সঙ্গে শেষ দেখা করে দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য চকবাজার গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
পরের দিন সকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রাজিব কাজী এনামুল হক অভির লাশ শনাক্ত করেন। রাজিব কাজী জানান, ওইদিন চকবাজার আল-মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টাল অগ্নিকাণ্ডে এনামুল হকের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে তার বৃদ্ধ বাবা মোতালেব হোসেন কাজী ও মাতা আখিমন বেগম ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বারবার সঙ্গাহীন হয়ে পরছেন এবং বিলাপ করে বলছেন আমার ছেলের আমার ছেলের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে ঢাকা চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নে মো. মজিবর রহমান হাওলাদার (৫০) নামে আরো একজন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার পিতার নাম মো. মোসলেম হাওলাদার। তার গ্রামের বাড়ি সন্তোষপুর গ্রামে। সে ঢাকা চকবাজার ওই ভবনেই প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করত বলে তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তার ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও স্ত্রী গ্রামে রেখে গেছেন। নিহত মজিবর রহমানের বড় ভাইয়ের ছেলে আসলাম ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চাচার (মজিবর রহমান) লাশ শনাক্ত করেছেন।