× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রিকশাতেই শেষ একটি পরিবার

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

বেদনাদায়ক। মর্মান্তিক। মুহূর্তেই শেষ একটি পরিবার। টগবগে তাজা জীবনগুলো এক সঙ্গে পুড়ে ছবি হয়ে গেছেন মুহূর্তে। চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর তিন সদস্যের পরিবারটিকে খুঁজছেন স্বজনেরা। তারা জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত অগ্নিকাণ্ডের সময় রিকশায় থাকা এ তিনজনই দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সালেহ  আহমেদ, স্ত্রী নাসরিন জাহান ও একমাত্র ছেলে আফতাহিকে নিয়েই ছিল একটি সুখী পরিবার। নাসরিন জাহান চকবাজার মদিনা টাওয়ার মার্কেটের ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।
আর সালেহ আহমেদ কাজ করতেন ইগলু কোম্পানির কেরানিগঞ্জ এলাকার ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে। ছেলে আফতাহি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলের স্কুল শেষে মা তার কর্মস্থলে নিয়ে যেতেন। সালেহ আহমেদ তার অফিস শেষে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফিরতেন। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাতেও সালেহ আহমেদ তার অফিস শেষে স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। সাড়ে ১০টার পর তারা বাসায় ফেরেন। বাসায় আসার পথে রয়েছেন এমনটি বলেছেন বলে স্বজনদের মনে হয়। এ ফোনই ছিল পরিবারের সঙ্গে শেষ কথোপকথন।

তারা যখন ফোন দেন তখন তাদের কথা ভেঙে আসছিল। স্পষ্ট বুঝা যায়নি। কি বলেছে তাও স্বজনরা ঠিক ধরতে পারেনি। কয়েক সেকেন্ড কথার পরেই ফোন কেটে যায়। এরপরে আর তাদেরকে বাসা থেকে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। এরপরে চুড়িহাট্টার কাছেই বাসা থেকে আগুনের খবর শুনতে পান স্বজনরা। এরপর তারা আগুনের ঘটনাস্থল আর হাসপাতালে তাদের খুঁজতে থাকেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া এ দম্পতির ভাগিনা জাকির হোসেনের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে যখন কথা হয় তখন মামাতো ভাই আফতাহির ভিডিও দেখিয়ে বিলাপ করছিলেন তিনি। বলেন, ভাইটা আমাদের সঙ্গে অনেক আনন্দ-ফুর্তি করতো। এ ভিডিওটি এক সপ্তাহ আগে আমরা করেছি এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে। তিনি জানান, মামা-মামি এবং তাদের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। আফতাহি দেখতে আমার মতো ছিল। অনেকে দেখে আমার আপন ভাই-ই মনে করতো। তার সঙ্গে আমার কতশত স্মৃতি। নানা-নানি গ্রামে থাকেন। কি করে তাদের সান্ত্বনা দিবো জানি না। চার ভাইয়ের মধ্যে সালেহ ছিলেন সবার ছোট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর