× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নদী তীরের মাটি ইটভাটায়, ঝুঁকিতে শেওলা সেতু

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

বিয়ানীবাজারে নদীর তীর কেটে বিরাট গর্ত করে মাটি নেয়া হচ্ছে ইটের ভাটায়। খরস্রোতা কুশিয়ারা নদীর তীর কাটার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ওই স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বাস চলাচলের এই একমাত্র সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজারের সরাসরি বাস যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম শেওলা সেতু । ২০০১ সালে নির্মিত সেতুটি এখন হুমকির মুখে। সেতুটি নির্মাণের পর একদম কিনারা ঘেঁষে তৈরি করা হয় সোনার বাংলা ব্রিক ফিল্ড। সোনার বাংলা নামের এই ইটভাটা শুরু থেকে নদীর তীর কেটে গর্ত করে প্রতি বছর মাটি নিয়ে যায়। বর্ষায় পলি এসে ভরাট হলে আবার মাটি কেটে নেয়া হয়।
এভাবে বছরের পর বছর মাটি কেটে নেয়ার ফলে সেখানে নদীর উভয় পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি গর্তের নিকটবর্তী হওয়াতে সেতুটিও হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে ট্রাক-ট্রাক্টর লাগিয়ে প্রতি বছর মাটি কাটা হলেও এবার শ শ শ্রমিক দিয়ে নদীর তলদেশ পর্যন্ত গর্ত করে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। প্রায় ত্রিশ বিঘা জমিতে নদীর তীর কেটে মাটি তুলে নেয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে মাটি কাটা বা নদীর বাঁধ কেটে মাটি নেয়া আইনত দণ্ডনীয়। এছাড়া পরিবেশ আইনে জনবসতির দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও সোনার বাংলা ইটভাটা গ্রামের ভেতরে নির্মিত।
কুশিয়ারা নদী এমনিতে খরস্রোতা। তাই নদীর দুই পাড়ে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শেওলা সেতুর পাশে নদীর তীরে খাদ করে মাটি তোলার কারণে পানির স্রোত এসে সেখানে ধাক্কা খায়। এতে সেতুর নিচে ও ওই এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এখনই নদী ভাঙন রোধ করা না গেলে বিয়ানীবাজারের বাস চলাচলের একমাত্র শেওলা সেতুটি মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে। এমনকি মাটি সরে ভেঙেও পড়তে পারে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও মো. তানভির আলম জানান, সেতুর পাশ থেকে মাটি কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট ইটভাটা মালিককে চিঠি দেয়া হবে। তাছাড়া থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর