× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন / ৩২ বছরেও বাড়েনি টিকিট সংখ্যা, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাংলারজমিন

এম ইদ্রিস আলী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

 শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের আন্ত:নগর ট্রেনের (ডাউন) আসন সংখ্যা ৩২ বছরেও বৃদ্ধি পায়নি। পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলের এই রেল স্টেশনটিতে আসন সংকট থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ট্রেন যাত্রা অনেকটা নিরাপদ হওয়ায় আন্তঃনগর ট্রেনের প্রতি যাত্রীরা ঝুঁকে পড়ায় চাহিদা মতো আসন দেয়া যাচ্ছে না। ফলে টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রী স্ট্যান্ডিং টিকিট নিয়ে গন্তব্য যাচ্ছেন।
রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৮৬ সালের বরাদ্দকৃত আসন দিয়েই চলছে এ রেল স্টেশনটি। বর্তমানে এ স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকায় আসন সংখ্যা ৬৪টি। এর মধ্যে ১ম শ্রেণির কেবিন ৯টি, ১ম শ্রেণির চেয়ার ১০টি, শোভন চেয়ার ২৫টি ও শোভন ১০টি।  ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন ট্রেনে মোট টিকিট সংখ্যা রয়েছে ৬১টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির বার্থ ৬টি, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৫টি, শোভন চেয়ার ২০টি ও শোভন ৩০টি।
এ ছাড়া আন্তঃনগর কালনী ট্রেনে এ স্টেশনে মোট টিকিট রয়েছে ৫১টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৬টি, শোভন চেয়ার ২০টি ও শোভন ২৫টি।
আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে এসি কেবিন ১৫টি, এসি চেয়ার ৩০টি ও শোভন চেয়ার রয়েছে ৬০টি। এদিকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন ট্রেনে শুধু শোভন শ্রেণির মোট আসন সংখ্যাই রয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে কুমিল্লা ৫টি, ফেনী ৫টি, লাকসাম ৫টি ও চট্টগ্রাম ৩০টি। একই রুটে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনে মোট ৬১টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ৫টি, ফেনী ৫টি, লাকসাম ৫টি ও চট্টগ্রাম ৩০টি। অথচ এ স্টেশন থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন এই ছয়টি ট্রেনে গড়ে প্রায় ৬ থেকে ৯শ’ যাত্রী চলাচল করলেও সর্বমোট ৬টি ট্রেনের টিকিট বরাদ্দ রয়েছে মোট ৩৮৭টি বলে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে।
জনসংখ্যার পরিসংখানে দেখা যায়, ১৯৮৬ সালে এ উপজেলায় লোকসংখ্যা ছিল প্রায় পৌনে দুই লাখ। আর ৩২ বছর পর এ উপজেলার লোক সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিন লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রায় পৌনে দুই লাখ পর্যটক এখানে আসছেন। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল ছাড়াও এই রেল স্টেশনটির উপর মৌলভীবাজর সদর ও রাজনগরের উপজেলার সব ট্রেন যাত্রী পুরোপুরি নির্ভরশীল। এর সঙ্গে রয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
শ্রীমঙ্গল স্টেশনের টিকিট বুকিং সহকারী মো. আফিজুল হক বলেন, এ স্টেশনে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। চাহিদানুযায়ী টিকিট দিতে না পারায় প্রায় স্টেশনে যাত্রী সাধারণ বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন। প্রতিদিনই ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনে (ডাউন) অনেক যাত্রী স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটছেন। স্টেশন মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর  আলম বলেন, ‘আমরা প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠিয়ে থাকি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে বর্তমানে যে আসন সংখ্যা রয়েছে তা দ্বিগুণ করে দিলেই স্টেশনে আর টিকিট সংকট থাকবে না বলে জানান তিনি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর