২৬ দেশের প্রায় দেড় শতাধিক আরচারের পদচারণায় কাল থেকে টানা চারদিন মুখরিত থাকবে টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম। এত দেশের অংশগ্রহণ বাংলাদেশে আরচারিতে এটাই প্রথম। বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম ও সহসভাপতি রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দু’বার এই আসর বসেছিল ঢাকায়। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ আসরে ১৮টি দেশ অংশ নিয়েছিল। এবার বেড়েছে আরো আটটি। এবারের আসরে অংশ নিতে যাওয়া দেশগুলো হলো- আলবেনিয়া, আজারবাইজান, আলজেরিয়া, চাঁদ, ক্যামেরুন, জার্মানি, ভারত, ইরান, ইরাক, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কিরগিজস্তান, সৌদী আরব, মালয়ি, মরক্কো, নেপাল, পাকিস্তান, সুদান, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চাইনিজ তাইপে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উগান্ডা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। কাল সুদান, মালয়ি ও চাঁদের আরচাররা ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা ছিল।
চপলের কথায়, ‘আগের দু’আসরের চেয়ে এবারের আসর ভিন্ন। কারণ এখানে জার্মানির মতো বিশ্বমানের আরচাররা আসছেন। তাই আগেভাগে স্বর্ণপদকের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না। তবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মুখিয়ে রয়েছে স্বর্ণপদক জিততে। তাছাড়া খেলার মান আমরা বৃদ্ধি করতে চাই।’ তিনি যোগ করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরাসরি খেলা দেখানোর চেষ্টা করবো আমরা।’ রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড বিভাগে পুরুষ ও মহিলা একক, দলীয় ও মিশ্র দলের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। দু’বিভাগে পাঁচটি করে দশটি ইভেন্টে ৩০টি স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। রিকার্ভ বিভাগ ৭০ মিটার ও কম্পাউন্ড বিভাগের খেলা ৫০ মিটারে হবে। টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশের আরচাররা হলেন- রোমান সানা, ইমদাদুল হক মিলন, হাকিম আহমেদ রুবেল, তামিমুল ইসলাম, বিউটি রায়, নাসরিন আক্তার, দিয়া সিদ্দিকী, ইতি খাতুন, শেখ সজিব, অসীম কুমার দাস, আবুল কাশেম মামুন, মিলন মোল্যা, সুস্মিতা বণিক, বন্যা আক্তার, শ্যামলী রায় ও তামান্না পারভীন।