সিটি ফুটবল গ্রুপের (সিএফজি) আড়াই বিলিয়ন পাউন্ডের বৈশ্বিক ফুটবল নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত হলো। তাদের মালিকানায় এবার যুক্ত হলো চাইনিজ ক্লাব সিচুয়ান জিউনিউ। আর সিএফজি’র রাডারে ক্লাবের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭টিতে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি কিনে নেয় আরব ধনকুবের শেখ মনসুরের মালিকানাধীন আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ। এই গ্রুপের অধীনেই ২০১৩ সালের মে মাসে হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় সিএফজি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লীগ সকার ক্লাব নিউ ইয়র্ক সিটি এফসি কিনে নেন শেখ মনসুর। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, জাপান, স্পেন ও উরুগুয়েতেও সিএফজি’র মালিকানাধীন ক্লাব রয়েছে। ইউবিটেক ও চায়না স্পোর্টস ক্যাপিটাল’র সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় সারির ক্লাব সিচুয়ান জিউনিউ কেনার ঘোষণা দেয় সিটি ফুটবল গ্রুপ।
এশিয়ায় সিএফজি’র আরেক ক্লাব জাপানের ইয়োকোহামা মারিনস। এক প্রতিক্রিয়া সিএফজি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরান সোরিয়ানো বলেন, ‘সিটি ফুটবল গ্রুপের সমৃদ্ধিতে আজ নতুন অধ্যায় রচিত হলো। ফুটবল বাজারে চীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গ্রুপে সিচুয়ান জিউনিউকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’ সিএফজির লক্ষ্য প্রতিটি মহাদেশে ক্লাব কেনা। এখনো আফ্রিকান অঞ্চলে বিনিয়োগ করেনি তারা। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ক্লাব মেলবোর্ন হিট লুফে নেয় সিএফজি। পরে এর নামকরণ করা হয় মেলবোর্ন সিটি এফসি। ওই বছরের মে মাসে জাপানের ইয়োকোহামা মারিনসের শেয়ার কেনে সিএফজি। ২০১৭ সালের এপ্রিলে যুক্ত হয় উরুগুয়ের ক্লাব অ্যাটলেটিকো টর্কে। একই বছরের আগস্টে স্প্যানিশ ফুটবলে হাত বাড়ায় সিএফজি। যৌথ মালিকানায় কিনে নেয় লা লিগা দল জিরোনাকে। উরুগুয়ে ও স্পেনে বিনিয়োগ করার আগে ২০১৫ সালে শেষবার সিএফজি’র মূল্যমান ঘোষণা করা হয়েছিল। আর ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা।
এক নজরে সিটি ফুটবল গ্রুপের ক্লাব
ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), নিউ ইয়র্ক সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), মেলবোর্ন সিটি (অস্ট্রেলিয়া), ইয়োকোহামা মারিনস (জাপান), ক্লাব অ্যাটলেটিকো টর্কে (উরুগুয়ে), জিরোনা (স্পেন), সিচুয়ান জিউনিউ (চীন)।