চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে নিজ মাঠে কোচ দিয়েগো সিমিওনির অধীনে ‘অজেয়’ চেহারাটা ধরে রাখলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদে হার শেষে শঙ্কায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস। রোববার শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াইয়ে জুভেন্টাসের বিপক্ষে নাটকীয় জয় তুলে নেয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। নিজ মাঠে ম্যাচের একবারে শেষ দিকে মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। কোচ দিয়েগো সিমিওনির অধীনে ইউরোপিয়ান কোনো ফুটবল আসরের নকআউট পর্বে নিজ মাঠে এখনো অপরাজিত (১২ জয়, ৪ ড্র) অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে শেষ চার লড়াইয়ে প্রথম লেগে হার শেষে পরের রাউন্ডে উত্তরণের নজির নেই জুভেন্টাসের। সর্বশেষ এমন ঘটনায় ২০০৫-০৬ মৌসুমে জার্মান দল ভারদার ব্রেমেনের কাছে প্রথম লেগে হারলেও ফিরতি লেগে জয় নিয়ে পরের রাউন্ডের টিকিট কেটেছিল জুভিরা। মাদ্রিদে ম্যাচের শুরুতে স্পটলাইট ছিল জুভেন্টাসের ইতালিয়ান ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চির ওপর।
পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি ছিল বোনুচ্চির ৫০০তম ম্যাচ। আর ম্যাচ শেষে সব আলো টানেন অ্যাটলেটিকোর দুই উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার হোসে জিমেনেজ ও দিয়েগো গোদিন। ম্যাচের ৭৮ ও ৮৩তম মিনিটে গোল আদায় করেন তারা।
প্রথমার্ধে বল দখলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল সফরকারী জুভেন্টাসই। তবে বিরতির পর তেতে ওঠে আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো সিমিওনির অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে জুভেন্টাসের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দিয়াগো কস্তা। আন্তোইন গ্রিজম্যানের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। আর স্প্যানিয়ার্ড স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার গোল বাতিল হয় ভিএআর রিপ্লেতে। ৭৮তম মিনিটে উরুগুয়ান ডিফেন্ডার জিমেনেজের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এর পাঁচ মিনিট পর আবার উদযাপনের উপলক্ষ্য। এবার ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যাটলেটিকোর অধিনায়ক দিয়েগো গোদিন। আগামী ১২ই মার্চ তুরিনে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দু’দল।