× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বোনের বিয়ের বাজার করা হলো না রোহানের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

মার্চের ১০ তারিখ একমাত্র ছোট বোনের বিয়ে। বিয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা ও কমিউনিটি সেন্টারের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তানভির হাসান খান রোহান। তবে বোনের বিয়ে দেখা হলো না আর রোহানের। রোহানের বয়স ২০। নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তিন ভাইবোন। বাবা মো. হাসান খান। পোশাক ব্যবসায়ী।
বাড়ি আগামসি লেনে। বৃহস্পতিবার রাতে ৩টি মোটরবাইকে ৫ জন বন্ধু বেরিয়েছিলেন কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়া, খাওয়ার খরচ সম্পর্কে খোঁজ নিতে। সেই সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু পণ্য কিনতে।
রোহানের চাচাতো ভাই মো. মোমিন খান বলেন, একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন নিহত রোহান ও তার বন্ধু আরাফাত। তাদের সঙ্গে অপর দুই মোটরসাইকেলে ছিলেন তিন বন্ধু রমিজ, সোহাগ ও লাবিব। লাবিবের মাথার কিছু অংশ পুড়ে গেছে। বাকি বন্ধুরা সুস্থ আছে।
তিনি আরো বলেন, রোহান ও আরাফাতের মোটরসাইকেলে আগুনের কুণ্ডুুলি এসে পড়ে এবং মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। এতেই মৃত্যু হয় দু’জনের। রোহানের বন্ধু ও প্রতিবেশী আরাফাত উইল লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ‘এ’ লেবেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। আরাফাতের লাশ পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছেন। তবে রোহানের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। রোহানের লাশের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসেন মা-বাবা, ছোট ভাইবোন নানাসহ পরিবারের অনেকেই। তাদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে চারপাশ। মা ও নানা রোহানের ছবি হাতে বলতে থাকেন, রোহান তুই আয়। তুই মরতে পারিস না। বাড়ি যাবি না রোহান। এরই মাঝে ছোট ভাইয়ের উচ্চস্বরে কান্নায় ভিজে যায় উপস্থিত অনেকের চোখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর