× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাবাকে খুঁজছে রাফিন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

বেলা ১১টা। লালবাগ রয়েল হোটেলের সামনে বসে কাঁদছে একটি শিশু। সবাই যে যার মতো চলে যাচ্ছে। ওর দিকে তাকাচ্ছে না কেউই। কাছে গিয়ে জানা গেল, তার বাবা গতকাল মারা গেছে অগ্নিদগ্ধ হয়ে। ছেলেটির নাম রাফিনুর রহমান। বয়স ৭ বছর। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাফিনের বাবা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর চুড়িহাট্টা এলাকার ওয়াহেদ ম্যানশনে ওষুধের ফার্মেসি ছিল।
তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। গত ১০ বছর ধরে চকবাজার এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন তিনি। গতকাল দুপুরের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন দোকানের উদ্দেশ্যে।

কিন্তু আর ফেরা হলো না তার। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে লাশ শনাক্ত করেন মঞ্জুর ছোট ভাই খোরশেদ আলম। লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়। নিহতের বাবা-মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। নিহত আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ছেলে রাফিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে মানবজমিনকে বলে, সবাই বলছে আমার বাবা নাকি মারা গেছে। সবাই মিথ্যা বলছে। আমার বাবা মরে নাই। বাবা আসবেই। তাই আমি বাবার জন্য এখানে বসে আছি।

রাফিনের পরিবারে আর কে কে আছে জানতে চাইলে সে জানায়, বাসায় মা আর ছোট বোন আছে। বোনের বয়স দুই বছর।

নিহতের ভাই খোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, গতকাল রাতে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে আজ (গতকাল) সকালে আসছি। এসেই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়েছি। সেখানে আমার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি। রাতের মধ্যে লাশ দেশের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। সেখানেই ভাইকে দাফন করবো।

লালবাগ এলাকার মুদি দোকানদার আবুল কাসেম মানবজমিনকে বলেন, মঞ্জু দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় বাস করছেন। তার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সব সময় আমার দোকান থেকে বাজার সদাই করতেন। পুরান ঢাকায় থাকা অবস্থায় মঞ্জুর বন্ধুত্ব হয় মাজহারুলের সঙ্গে। তিনি চক বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে মাজহারুল ইসলাম আসেন তার বন্ধুর বাসায়। তিনি মানবজমিনকে বলেন, মঞ্জুর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। এত অল্প বয়সে তার বিদায় মেনে নেয়া যায় না। তার পরিবার নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে। এখন একমাত্র আল্লাহই ওদের দেখবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর