× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় অমর একুশে পালিত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতি স্মরণ করেছে ভাষা শহীদদের। নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে গতকাল রাজধানীসহ সারা দেশে পালিত হয়েছে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসের প্রথম প্রহরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ মিনার সম্মুখে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেদিতে পুষ্প অর্পণের পর, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রীবর্গ ও দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপরে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র সাঈদ খোকন এবং এরপর উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ভাষা শহীদদের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদ বেদিতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানেরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকেও মহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর অ্যাটার্নি জেনারেল, আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক, ভাষা সৈনিকবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ, বিদেশি সংস্থার প্রধানগণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে ছিলেন। বিশিষ্টজনেদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এসময় বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারসহ একে একে বিভিন্ন ছোট-বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে খালি পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠেন। হাজারো মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। স্কাউট, বিএনসিসি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রাতভর সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের বেদিতে ফুল দিয়ে স্মৃতিচারণ করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

রাত ১২টায় প্রথম প্রহরের পর ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই নানান রঙের ফুলে আবারও ভরে উঠে শহীদ বেদি। অমর একুশে স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন প্রভাত ফেরি বের করে। শহীদ মিনারে যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে দেয়াল পর্যন্ত ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রঙের আচড়ে। আলপনাসহ আঁকা হয় ভাষা শহীদদের বিভিন্ন প্রতিকৃতি। ছাত্র, শিক্ষক, লেখক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবীসহ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসা সবারই দাবি ছিল একটাই -দেশের সব স্তরেই যেন প্রচলন করা হয় বাংলা ভাষা। এদিকে সার দেশে পালিত হয়েছে একুশের নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রভাত ফেরী, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর