× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বামী-স্ত্রী গুণধর বটে!

দেশ বিদেশ

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

এক সময় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। এখন পেশকার। যিনি ম্যাজিস্ট্রেট তিনিও তার স্ত্রী। ভুয়া  পেশকার স্বামীর ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট স্ত্রী। গুণধর স্বামী-স্ত্রী বটে! এমন আলোচনা এখন চট্টগ্রামের গণমাধ্যম কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।

বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চট্টগ্রাম মহানগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন হাট-বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভুয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রকাশ হতে থাকে।

বুধবার দিনগত রাতেও চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেলহাট এলাকায় একটি হারবাল প্রতিষ্ঠানে ভুয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পরে ভুয়া পেশকার স্বামী মিজান উল্লাহ সমরকন্দী (৩৮) ও তার সহযোগী ফারদিন আহমেদ (২৪)।


এ সময় অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে  মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান তার স্ত্রী ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পারভিন আক্তার (৩৫)।

বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে বিষয়টি প্রকাশ করেন আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কথিত মোবাইল কোর্টের ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পারভীন আক্তারকে গ্রেপ্তারের কৌশল হিসেবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ওসি জানান, নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় সাদা মাইক্রো নিয়ে একটি হারবাল প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাতে গিয়েছিল এই প্রতারক দল। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী পারভীন নিজে গাড়িতে বসে মিজান ও ফারদিনকে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পাঠায়। এ সময় তারা অভিযানের কথা জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।

ওসি আরো জানান, মিজান তাদেরকে বলেন- ম্যাজিস্ট্রেট ম্যাডাম বলেছেন ২০ হাজার টাকা দিলে অভিযান হবে না। তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে হারবাল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের ৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ভুয়া পেশকার মিজান তা নিয়ে বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের সঙ্গে। মিজান তখন ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে ধাক্কা দেন। ফলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে ওখানে। এ সময় তারা মিজান ও ফারদিনকে ধরে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে পারভীন আক্তার দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আকবর শাহ থানার একটি টিম তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাটে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় গুণধর স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন তারা। এর আগে সাংবাদিক পরিচয়ে সাতকানিয়া উপজেলায় চাঁদাবাজি করতে গিয়েও আটক হন মিজান উল্লাহ সমরকন্দি। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নে। ফারদিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর