× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

'ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি' /কেন্দ্রীয় নেতারা কেন ব্যর্থ হলেন সেই উত্তর চান প্রার্থীরা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, শুক্রবার, ৫:০৭ পূর্বাহ্ন

বিগত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে না পারার জন্য ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অনেক প্রার্থী। ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির পরও কেন কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়েছে?

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কুমিল্লা-১০ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ৫২ বছর রাজনীতি করেছি। আমি কখনো জেল খাটিনি। এই নির্বাচনের সময় মাত্র প্রথম জেল খাটতে হয়েছে। সদ্য জেল খেটে বের হয়েছি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, আমাদের প্রতি জনসমর্থন ছিল শতভাগ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা কিছু করতে পারেনি কেন? তা জানা দরকার।
তার জন্য আরেকটি গণশুনানি বা সমাবেশ দরকার। আমি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, ড. কামাল হোসেন,  মান্না, আ স ম আব্দুর রব, মোস্তফা মোহসীন  মন্টুর কাছে জানতে চাই, কেন পারলাম না কিছু করতে?

মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে একটি জবাবদিহি দরকার বলে মনে করি। আগে কেন্দ্রীয় নেতারা কেন পারলেন তা জানার জন্য একটি সমাবেশ দরকার।

তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবরা যদি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সমাবেশ দেন। যারা প্রোগ্রাম দেবেন তারা যদি বলেন প্রোগ্রাম দেন, তাহলে প্রোগ্রাম দেবেন কে? বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কিছুই সম্ভব হবে না।
আর কিছু না করে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করুন।

নোয়াখালী ২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, আমি ড. কামালকে বিশ্বাস করি, আমি আমার দলকে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমার মা, আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে কেন কোনো কিছু করতে পারছি না? নির্বাচনে এতো বড় ডাকাতি হলো। সব জানার পরও কেন আমরা কিছু করলাম না? ৩১ ডিসেম্বর কেন খালেদার জিয়ার মুক্তির জন্য সমাবেশ করলাম না?

তিনি বলেন,  ২৭ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার মওদুদ ও ড. মোশাররফ এর ফোনালাপের পর নির্বাচন বয়কট করা উচিত ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই মওদুদকে। সেদিন আমরা নোয়াখালীর ৬ জন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

ফারুক বিএনপি মহাসচিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, সব কিছু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখি না দেখি করে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। চোর সব কিছু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার দেখি না, দেখি না শেষ হয় না। আর সহ্য হয় না মাননীয় মহাসচিব। আমার মাকে জেলে রেখে আর কিছু সহ্য করতে পারছি না।

এসময় ফারুক সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, আজকের গণশুনানির কৌশলে আমরা কোথাও ভুল করেছি কিনা। আগে তো আমাদের  দলের জন্য একটি গণশুনানি করা দরকার।

তিনি বলেন, নুরুল হুদাকে নির্বাচনের আগে অভিযোগ করে অনেক চিঠি দিয়েছেন। একটি চিঠির উত্তরও দেয়নি হুদা। আপনারা আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছেন।  ২৭ তারিখ সমাবেশের না দেয়ার পর ব্যারিস্টার মওদুদের কথা রাখা যেতো। তখন নির্বাচন বয়কট করার দরকার ছিল।

ফারুক আরো বলেন, মাননীয় মহাসচিব বলেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বলে মামলা দায়ের করেছি। ঐক্যফ্রন্টের দাওয়াত পেয়ে এখানে এসেছি। এসেছি। আমি সব করে যাব। সব করতে পারি। আমি সব কিছু ভুলতে পারি। কিন্তু আমার মাকে জেলে রেখে কিছু করতে বড্ড কষ্ট পাচ্ছি।

কুষ্টিয়া ২ আসনের প্রার্থী আহসান হাবিব লিংকন বলেন, আমরা জানি আমাদের অনেক ভুল ছিল। এখন আমরা সকল ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে ড. কামাল হোসেন ও মহাসচিবের নেতৃত্বে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং শেখ হাসিনাকে বিদায় করব।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের উপর গণশুনানি শুরু হয় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে। ধানের শীষ প্রার্থীর শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। তবে ২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী গণশুনানিতে অংশ নেয়নি।

এতে সকাল থেকে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন এবং বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পলিসি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলে।

৭ সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে আছেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন। অন্যদের মধ্যে  ড. এমাজউদ্দীন আহমদ,  ড. নুরুল আমিন বেপারী, ড. মহসিন রশীদ, ড. আনিসুর রহমান খান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুল।

এতে সকাল থেকে উপস্থিত আছেন জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদারসহ প্রার্থীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর