× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শমসেরনগরে বরযাত্রীদের গাড়িবহরে গণডাকাতি আহত ১০

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে সড়ক অবরোধ করে বরযাত্রীবাহী গাড়িবহরে গণডাকাতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শমসেরনগর-পীরেরবাজার সড়কে ময়না বুড়ির ঘর এলাকায় দুধুর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ২০-২৫ সদস্যদের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল সড়ক অবরোধ করে ১০টি বরযাত্রীবাহী গাড়ি আটকে প্রথমে ভাঙচুর করে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে একে একে বরযাত্রী ১০টি গাড়ির নারী পুরুষ সদস্যদের মারধর করে কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত সদস্যদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য এবং আবু বক্কর সিদ্দিকী নামে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বরযাত্রী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার অবরসপ্রাপ্ত শিক্ষক সুরৎ পাল বলেন, বরযাত্রীবাহী গাড়িগুলোর সামনের গাড়িটি ময়না বুড়ির ঘর এলাকা অতিক্রমকালে একটি প্রাইভেট কার সড়কে এলোপাতাড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চালক গাড়ি থামান। এ সময় ২০-২৫ সদস্যের ডাকাত দল অতর্কিত দা, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে প্রথমে ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে একে একে ১০ গাড়িতে উঠে বরযাত্রী নারী-পুরুষদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইলফোনসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে করে।
এ সময় ডাকাত সদস্যদের হামলায় বরযাত্রী সিলেট রিজার্ভ পুলিশের সদস্য অলক পালসহ অন্তত ১০ জন বরযাত্রী আহত হন। ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পুলিশের পিকআপ গাড়ি এবং প্রাইভেট কার নিয়ে বরযাত্রীদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ঘটনাস্থলের অদূরে পুলিশ গাড়ি নিয়ে থেমে গেলে দুই ইউপি সদস্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে এগিয়ে গেলে ডাকাত সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই ইউপি সদস্যকে আহত করে তাদের বহনকৃত প্রাইভেট কার গাড়িটি ভাঙচুর করে। উদ্ধারকারীদের ওপর ডাকাত সদস্যরা হামলা করার সময় পুলিশ সদস্যরা ডাকাতদের প্রতিরোধ না করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতেই বিক্ষুব্ধ লোকজন শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হন। এ সময় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হয়। রাতেই আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডিসপেন্সারিতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। শমসেরনগর ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম বলেন, মোবাইল ট্রাকিং করে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিতপূর্বক আটক এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, রাতে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এলাকায় টহল দিয়ে থাকে। ঘটনার সময় যে কয়জন পুলিশ সদস্য ফাঁড়িতে ছিল সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর