× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চকবাজার ট্র্যাজেডি / ভ্যানেই পুড়ল কুড়িগ্রামের ৩ যুবক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

ঢাকার চকবাজারে আগুন ট্র্যাজেডির শিকার হলো কুড়িগ্রামের তিন হতভাগ্য তরুণ। হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা করতে এই তিন যুবক কাজ নেয় ঢাকার একটি জুতোর দোকানে। ঘটনার দিন বুধবার রাত ১০টার দিকে দোকান থেকে অন্য দোকানে মালামাল ডেলিভারি করতে যায় তারা। এসময় ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভ্যানেই মৃত্যুবরণ করে তারা। হতভাগ্যরা হলেন, সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠেরপাড় শিবেরচর এলাকার আব্দুল কাদেরের পুত্র সজিব (২৩), নাগেশ্বরীর উপজেলার হাজিপাড়া গোবর্ধনকুঠি গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের পুত্র রাজু মিয়া (১৮) ও একই উপজেলার আবু বক্করের পুত্র খোরশেদ আলম (২২)। দুর্ঘটনায় নিহত এই তিন যুবককে শুক্রবার সকালে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে। এই তিন যুবক কিশোর বয়স থেকেই কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকার চকবাজারে একটি জুতোর দোকানে কাজ নেয়। পরিবারে কর্মক্ষম এই তিন যুবকের লাশ বাড়িতে আনা হলে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
একমাত্র পুত্র সজিবের মৃত্যুতে পাগল প্রায় বাবা আব্দুল কাদের। তিনি প্রলাপ বকছেন আর বলছেন, ‘বাবারে মোর ছওয়াটাক তোমরা আনি দেও। মুই এ্যালা কার ভরসায় বাঁচিম।’ একমাত্র সন্তানের মৃত্যু তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। মৃত রাজু মিয়ার ভাই মাসুদ জানায়, বাড়িভিটা ছাড়া তাদের আর কিছু নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর রাজু ঢাকায় জুতোর দোকানে কাজ যোগাড় করে। আর সে এলাকায় ভ্যান চালাতো। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সে ঢাকায় কাজ করছে। খোরশেদ আলমের মামা নবিউল্লাহ জানান, খোরশেদ আলম বাবার একমাত্র পুত্র। ৬ শতক বাড়িভিটা ছাড়া তাদের কোন জমিজমা নেই। জুতার দোকানে কাজ করে সে দিনমজুর বাবাকে সাহায্য করত। সেই একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আবু বক্কর সারাক্ষণ ছটফট করছেন আর বলছেন, ‘এ্যালা মুই কাক নিয়া থাকিম।’ নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকায় বিশ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর