আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদে আগামী ১৮ই মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাদুল্লাপুর উপজেলার চারজন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীর মধ্যে শুধু একজন নারী প্রার্থী রয়েছেন। তিনিই হলেন মোছা. আকতার বানু লাকী। তিনি সাদুল্লাপুর শহরের বাসিন্দা আফলাক হোসেন সেন্টুর সহধর্মিণী। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ে আকতার বানু লাকীকে চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০০৯-এর ১৫ই ফেব্রুয়ারি সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে হাঁস প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলে আকতার বানু লাকী। এ নির্বাচনে প্রায় ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছরের ক্ষমতা থাকাকালে নাগরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থেকে জনগণের সেবা দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছিলেন আকতার বানু লাকী।
এর ফলে ২০১৫ এর ১৫ই মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে পুনরায় জয়ী হয় আকতার বানু লাকী। এভাবে টানা ১০ বছর এলাকাবাসীর দোড়গোড়ায় নানা ধরনে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। ফলে এ উপজেলা তাঁর জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চেলের ছিন্নমূল মানুষসহ সব পেশা ও শ্রেণির মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চায় আকতার বানু লাকী। তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে এবারের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। এ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে আনারস প্রতীক পছন্দ দিয়েছেন। তবে এখনো চূড়ান্ত প্রতীক বরাদ্দ পাননি বলে জানা গেছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে আকতার বানু লাকী ইতিমধ্যে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ নানা ধরনের প্রচারণা অব্যহত রেখেছেন।
আকতার বানু লাকী বলেন, আমি টানা ১০ বছর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়কাল পর্যন্ত জনগণকে সেবা দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি জনসাধরণের সেবক হয়ে বাকি জীবনে কাজ করতে চাই। এ সেবা অব্যাহত রাখার সুযোগদানে জনগণের ভোট প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলাবাসীর উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।