× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডোমারে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

বাংলারজমিন

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

আগামী ১০ই মার্চ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে লড়াই হবে ত্রিমুখী। অল্প ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারণ হতে পারে। ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ নৌকা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়া আনারস এবং সর্বদলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. নুরন্নবী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাষ্ট্রদূত আমিনুল হোসেন সরকার এবং সাবেক সংসদ সদস্য ড. হামিদা বানু শোভা প্রকাশ্যে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরন্নবীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাতভর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাইকে মাইকে চলছে প্রার্থীদের গুণগান সেই সঙ্গে চাচ্ছে তাদের মূল্যবান ভোট।
এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের বাড়ি বোড়াগাড়ী ইউনিয়নে। স্বতন্ত্রপ্রার্থী নুরন্নবীর বাড়ি পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামে। অপরদিকে আওয়ামী বিদ্রোহী স্বতস্ত্র প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়ার বাড়ি উপজেলার উত্তরের ইউনিয়ন কেতকিবাড়ী ইউনিয়নে। কেতকিবাড়ীর সংলগ্ন রয়েছে ৪টি ইউনিয়ন ভোগডাবুড়ি, কেতকিবাড়ী, গোমনাতি ও জোড়াবাড়ী এসব ইউনিয়নে একচেটিয়া ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন ওই এলাকার প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়া। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ওই সব ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীরা আঞ্চলিকতা বাদ দিয়ে দলীয় নৌকা মার্কায় ভোট দিলে ভোটের ফলাফল নৌকার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। এদিকে ডোমার উপজেলায় নৌকার বিশাল একটা ভোট ব্যাংক থাকলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সব দলের সমর্থন নুরন্নবীর দিকে থাকায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনি গড়ে তুলছেন বলে ভোটাররা জানান। অপরদিকে নৌকার নিজস্ব ভোট ব্যাংকের পাশাপাশি বোড়াগাড়ী ও ডোমার সদর ইউনিয়নে তোফায়েলের রয়েছে ভোট ব্যাংক। তাছাড়া সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের সমর্থন রয়েছে তোফায়েলের প্রতি তাই নির্বাচনে কে জিতবে বলা মুশকিল। তাই নির্বাচন হবে ত্রিমুখী। উত্তরের ভোট যার বাক্সে বেশি পড়বে তার ভাগ্যেই জুটবে বিজয়ের মালা। অপরদিকে অনেক ভোটারের মনে ভোট নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাদের বক্তব্য ভোট দিয়ে কি হবে। যে জিতার সেতা জিতবেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর