× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পূর্বাচলেই হবে ক্রীড়া কমপ্লেক্স!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার জন্য সরকারের কাছ থেকে ৩৭.৫০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি)। পরবর্তীতে সেই জায়গাটিই ক্রিকেট বোর্ডকে দিয়ে দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সেখানে নিজস্ব অর্থায়নে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম  তৈরি করবে বিসিবি। হাতের মুঠোর জমি হাতছাড়া হওয়ার পর পূর্বাচলেই নতুন জমি চাইছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স সেখানেই তৈরি করতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।  জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার ভাবনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার ইচ্ছে পূর্বাচলেই ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার। কারণ, এটি কেন্দ্রীয়ভাবে করা হবে। তাই ওখানে কমপ্লেক্স হলে পূর্বাচল এলাকাবাসীরও লাভ হবে, বাংলাদেশের মানুষেরও লাভ হবে।’
একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা সরকারের অনেক আগে থেকেই নেয়া। তবে এই উদ্যোগের পালে জোর হাওয়া লেগেছে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায়।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে এ নিয়ে দুটি সভাও হয়েছে। যেখানে প্রতি জেলায় একটি করে যুব ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ সুবিধা সমপ্রসারণ’ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই প্রতি জেলায় ক্রীড়া কমপ্লেক্স করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে হবে সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘প্রতি জেলায় ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির জন্য খুব সহসাই জমি খোঁজার কাজ শুরু হবে। ডিসিদের চিঠি দিয়ে জমি নির্ধারণ করতে বলা হবে।’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অগ্রাধিকার দেবে কমপ্লেক্সের জন্য জেলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন জায়গা। কারণ, ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করবে না সরকার। জায়গা পাওয়া সাপেক্ষেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু হবে যুব ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স  তৈরির কাজ। কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দরকার ৩০ থেকে ৩৫ একর জায়গা। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তারা পূর্বাচলে জমি পেতে রাজউককে চিঠি দেবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্সের একটি মাস্টার প্ল্যান করে তারা খুব তাড়াতাড়িই জমা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। তার ভিত্তিতে জমি পাওয়ার উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়। আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই ক্রীড়া কমপ্লেক্সে থাকবে ফুটবল, ক্রিকেট মাঠসহ শীর্ষ ২০টির মতো খেলার সুযোগ-সুবিধা। অ্যাথলেটিক ট্র্যাক, সাঁতারের জন্য ২৫ মিটারের পুল, সাইক্লিংয়ের ভেলোড্রাম, টেনিস কোর্ট, ভলিবল, কাবাডি, হ্যান্ডবলসহ বাছাই করা খেলার সুযোগ-সুবিধা থাকবে জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। মাল্টি পারপাস ইনডোর, বিভিন্ন খেলার ক্যাম্প করার জন্য আবাসন সুযোগ-সুবিধা, একাডেমিক ভবন এবং বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগও থাকবে এখানে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর