× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেস্টের আগে কী শিক্ষা পেলেন তামিম?

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার

বিপিএল ফাইনালে ১৪১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দেন তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেই তামিমের ব্যাটই কথা বলেনি পুরো ওয়ানডে সিরিজে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে তামিমের সংগ্রহ যথাক্রমে ৫, ৫, ০। আর এমন পারফরম্যান্স তামিমের নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। এই সিরিজের আগে ওয়ানডেতে নিজের সবশেষ সাত ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটি করেছিলেন তামিম। আর ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে আগের সফরে ওয়ানডে সিরিজে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৭.৬৬ গড়ে ১১৩ রান (৩৮, ১৬, ৫৯)। এবারো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। আর নিজের ব্যর্থতায় তামিম এক বাক্যে বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।’ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিমের ব্যর্থতার স্মৃতি বলতে গেলে ২০১১ সালে ফিরে যেতে হবে।
এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘সর্বশেষ পুরো সিরিজেই খারাপ করেছিলাম মনে হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে সেটি তো অনেক দিন আগের কথা। ওই সিরিজটার পর একটাও ফিফটি করিনি, এমন ওয়ানডে সিরিজ সর্বশেষ কবে খেলেছি মনেই করতে পারছি না।’ ২০১১ সালে নিজ মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাত্র ৪ রান (০, ৪, ০) করেছিলেন তামিম। এমন দুঃস্বপ্নের মতো সিরিজ আর আসেনি তামিমের ক্যারিয়ারে। সবশেষ সিরিজে যেন ‘৫’ সংখ্যার ভূত তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪ বার ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট হন তামিম। ওয়ানডেতে এর চেয়ে বেশিবার আউট হয়েছেন শুধু ‘০’ রানে। তৃতীয় ওয়ানডেতে রানের খাতা খোলার আগে উইকেট খুইয়ে সংখ্যাটা ১৭-তে নিয়ে যান তামিম। আর একবার ‘০’ রানে আউট হলেই হাবিবুল বাশারের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বাধিক রানসংগ্রাহক ও সেঞ্চুরিয়ান (১১টি)। দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে তৃতীয় ওয়ানডের আগে তামিম বলেছিলেন, ১০ ওভারের আগে উইকেট দেবেন না। কিন্তু নিজের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। টিম সাউদির বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। আর ভুল স্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি ১৮৯ ওয়ানডেতে ৬৪৬০ রান করা তামিম। বলেন, ‘ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কী বললাম আর ব্যাটিংয়ে নেমে কী করলাম! সাউদির বল আমার জন্য ইনসুইং হবে জানতাম। তাই ভেবেছিলাম, বেরিয়ে গিয়ে যদি একটা মেরে দিই, আমিও একটু ফ্রি হয়ে যাব, আর সাউদিও একটু এলোমেলো হয়ে যাবে। কিন্তু চিন্তাটা ঠিক ছিল না। প্রথম ওভারেই এটি না করে তৃতীয় ওভারে করলেই পারতাম। সর্বশেষ কবে এমন করেছিলাম,  সেটিও মনে আছে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে রাবাদাকে ডাউন দ্য উইকেট মারতে গিয়েছিলাম। প্রথমবার বেঁচে গেলেও পরেরবার আউট হয়ে যাই। গত চার বছর আর এমন কিছু করিনি।’ তামিম বলেন, ‘প্রথম ১০ ওভারের আগে-পরে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বোলিংয়ে ছিল আকাশ-পাতাল তফাত। এই যে সাউদি ৬ উইকেট নিলো, সে কিন্তু ১০ ওভারের কম বোলিং করেও ৬৫ রান দিয়েছে। কিন্তু ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ৪ উইকেট।’ ক্রিজ থেকে বেরিয়ে হাঁকানো দারুণ সব শটেই তামিমকে প্রথম চিনেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের মুনাফ প্যাটেল আর জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে উড়িয়ে মারার সেই দৃশ্যগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে তামিমের সামনে টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙ্গুলে চোট পেয়ে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবশেষ দু’টি টেস্ট সিরিজ মিস করেন তামিম। ৫৬ টেস্টে ৪০৪৯ রান করা তামিম সবশেষ টেস্ট খেলেন ২০১৮ সালের জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। হ্যামিল্টনে আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর