তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুখের সংসার ছিল রাজধানীর চকবাজারের ব্যবসায়ী মো. নাসিরুদ্দিনের। তার সুখের সংসারে প্রথম দু:খের অনল লেগেছিল ২০১১ সালে। ওই বছর তার বড় মেয়ে আজরীন (২২) ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তবে সেই কষ্ট বুকে চেপে দুই মেয়ে আনহা , সারজা ও একমাত্র ছেলে মাহিদকে নিয়ে কেটে যাচ্ছিল নাসিরুদ্দিনের দিন।
কিন্তু গত বুধবার রাত থেকে তার সেই সুখের সংসারে আবারো লেগেছে দু:খের আগুন। কারণ সর্বগ্রাসী আগুন কেড়ে নিয়েছে তার একমাত্র ছেলে ওয়াসি উদ্দিন মাহিদকে। শোকের ছায়া নামা এসেছে তার বাড়িতে। মেয়ের পর ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় এ ব্যবসায়ী।
এসএসসি পাশের পর মাহিদ ভর্তি হয়েছিল নবকুমার ইনস্টিটিউটে। সম্প্রতি বাবাকে সাহায্য করতে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছিল সে। তাকে হারিয়ে বাড়িজুড়ে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর ক্ষণে ক্ষণে মুর্ছা যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
নাসিরুদ্দিন বলেন, মাহিদ তার মায়ের জন্য মিনারেল ওয়াটার কিনতে বাসা থেকে বের হয়, বোধ হয় চুড়িহাট্টার মোড় পর্যন্তও আসতে পারেনি, গাড়ি বিস্ফোরণের সময়ই হয়তো ও মারা যায়, আমরা মাহিদের মরদেহ মোটামুটিভাবে ভাল পেয়েছি। এখন এটাই আমার সান্ত¡না।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের মিনিট পাঁচেক আগেও আমি চুড়িহাট্টার মোড়ে ছিলাম। আমি পাশের এলাকা রহমতগঞ্জে গেলাম আর বিস্ফোরণের শব্দ পেলাম। আমি বুড়া হয়ে গেছি। মারা গেলেও হইতো, কিন্তু আল্লাহ কেন আমার তরুণ ছেলেটাকে নিয়া গেলো আমি আর কতো সহ্য করবো?